শেয়ার বিজ ডেস্ক: জাপানের পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে ৩১ অক্টোবর সাধারণ নির্বাচনের ডাক দিয়েছেন দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা। গতকাল বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টের নিন্মকক্ষ ভেঙে দিয়ে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে জাপানের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এবারই প্রথম নিন্মকক্ষের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর আগে সবকটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগে। খবর: রয়টার্স।
চলতি মাসের ৪ তারিখে জাপানের শততম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন ফুমিও কিশিদা। এর ১১ দিনের মাথায় নিন্মকক্ষ ভেঙে দেয়ার ঘোষণা দিতে হলো তাকে, কারণ চার বছরের জন্য নির্বাচিত নি¤œকক্ষের বর্তমান মেয়াদ অক্টোবরের ২১ তারিখে উত্তীর্ণ হয়ে যাবে। এ অবস্থায় নতুন নির্বাচনের আয়োজন করাটা নতুন প্রধানমন্ত্রীর জন্য সাংবিধানিকভাবে অগ্রাধিকারের বিষয়। পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়া এবং নতুন নির্বাচনের তারিখের মধ্যে ব্যবধান মাত্র ১৭ দিন। জাপানের সংবিধানে বলা আছে, নিন্মকক্ষ ভেঙে দেয়ার ৪০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচনের তারিখ সরকারকে নির্ধারণ করে নিতে হবে।
কিশিদা আশা করছেন, কভিড সংক্রমণের হার ব্যাপকভাবে হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি ভোটারদের আস্থা অর্জনে তার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন উদার গণতন্ত্রী দল এলডিপিকে সাহায্য করবে।
গতকাল তার কার্যালয়ে সাংবাদিকের তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচনটি ব্যবহার করতে চাই জনগণকে জানাতে যে, আমরা কী করার চেষ্টা করছি এবং আমরা কী লক্ষ করছি।’
সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, ৪৮ শতাংশ ভোটার চান কিশিদার প্রশাসন কভিড নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করুক। এরপর তারা চান, অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠা ও কর্মসংস্থান নিয়ে সরকার কাজ করুক।
কিশিদা বলেছেন, সরকারের ছোট অংশীদার কোমেই পার্টির সঙ্গে গড়ে নেয়া জোট ২৩৩টি আসনে জয়ের লক্ষ্য ধরে নিয়েছে। নি¤œকক্ষে মোট আসনসংখ্যা হচ্ছে ৪৬৫টি। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত নিন্মকক্ষের সর্বশেষ নির্বাচনে জোট পেয়েছিল ৩১০টি আসন। ২৩৩টি আসন লাভ করা হচ্ছে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করে নেয়া।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিরোধী দল কনস্টিটিউশনাল ডেমোক্র্যাটসের প্রতি মানুষের নিন্ম সমর্থন হার কাটিয়ে ওঠাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। আশাহি শিমবুনের সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ১৩ শতাংশ মানুষ দলটিকে ভোট দেয়ার পরিকল্পনা করছেন। বিপরীতে এলডিপিকে ভোট দিতে চান ৪৭ শতাংশ মানুষ।