বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্টগুলো হ্যাকড হচ্ছে। এর মাত্রা দিন দিন বেড়ে চলেছে। ফেসবুকের অ্যাকাউন্টগুলো সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত রাখা। যেকোনো আইডি ও অনলাইন তথ্য নিরাপদ রাখার প্রথম শর্ত, শক্তিশালী ও নিরাপদ পাসওয়ার্ড ব্যবহার। পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত রাখার কিছু উপায় তাহলে জেনে নেওয়া যাক।
পাসওয়ার্ড নিজের মনের মতো হোক
১, ২, ৩… অথবা নিজের নাম ও জš§তারিখ বা ফোন নম্বরÑএ ধরনের সহজ ও বহুল ব্যবহƒত পাসওয়ার্ড দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। নিজের মনের মতো এমন পাসওয়ার্ড দিন যা কেউ অনুমানও করতে না পারে।
পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করুন
পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার। কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন সব
ধরনের ডিভাইসে ব্যবহার উপযোগী এই অ্যাপ ব্যবহারে বারবার পাসওয়ার্ড টাইপ করতে হয় না। এ ছাড়া এটি সাহায্য করে সহজে, কিন্তু অন্যদের জন্য অনুমান করা অসম্ভব এমন পাসওয়ার্ড সেট করা। শুধু তাই নয়, নির্ধারিত সময় শেষে এটি আপনাকে পাসওয়ার্ড বদলানোর কথাও মনে করিয়ে দেবে।
কাউকে বলবেন না
কাছের মানুষগুলো অনেক সময় বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেমন ধরুন আপনার ফেসবুক পাসওয়ার্ড আপনার বন্ধু জানে। অনেক সময় দুষ্টুমির ছলে আপনার প্রোফাইলে ঢুকে কিছু একটা লিখল। এ কারণে আপনি সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই যতই কাছের মানুষ হোক না কেন, ভুল করেও কোনো পাসওয়ার্ড কখনোই কাউকে বলা বা দেখানো উচিত নয়।
কিছুদিন পরপর পাসওয়ার্ড বদলান
অনলাইনে নিরাপদ থাকার সবচেয়ে ভালো উপায় কিছুদিন পরপর পাসওয়ার্ড বদলে ফেলা। তবে মনে রাখতে হবে, নতুন পাসওয়ার্ডটি যেন আগেরটির সঙ্গে মিলে না যায়।
পাসওয়ার্ড হোক আট অক্ষরের বেশি
পাসওয়ার্ড বেশি অক্ষরের হলে হ্যাকড হওয়ার সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। কারণ ছোট পাসওয়ার্ড হলে দ্রুত হ্যাকড হতে পারে। তাই পাসওয়ার্ড আট অক্ষরের বেশি হলে ঝুঁকি কম থাকে।
পাসওয়ার্ড হবে বর্ণ, সংখ্যা ও চিহ্ন মিলিয়ে
একটি আদর্শ পাসওয়ার্ডে বর্ণ, সংখ্যা ও চিহ্নÑসবকিছুরই সমন্বয় থাকতে হবে।
বড় ও ছোট হাতের অক্ষরে ভেঙে তার সঙ্গে সংখ্যা ও চিহ্ন মিলিয়ে এমনভাবে সাজান যেন কেউ কোনোভাবেই অনুমান না করতে পারে।
পাসওয়ার্ড লিখে রাখবেন না
পাসওয়ার্ড কোথাও আলাদা করে লিখে বা সেভ করে রাখবেন না। লিখে রাখলে তা অন্যের হাতে পড়তে পারে। এতে ঝুঁকি বেশি থাকবে।
টুএফএ ব্যবহার
পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি টুএফএ। এখন কমবেশি সব সাইটই টুএফএ তথা টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন সাপোর্ট করেÑএটি ব্যবহারে কোনো আইডির জন্য পাসওয়ার্ড দেওয়ার পর স্বনির্ধারিত মোবাইল ফোন বা অ্যাপে একটি তাৎক্ষণিক কোড আসবে। এই কোড আবার পাসওয়ার্ড হিসেবে
ব্যবহার করেই কেবল লগইন করা যাবে। এতে কেউ আপনার পাসওয়ার্ড কোনোভাবে জেনে গেলেও তা হ্যাক করতে পারবে না।
মো. ইমরান হোসেন
