পর্যাপ্ত সময় ও পাসপোর্ট থাকলে বিনা ভিসায় কিছু দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। আজ এমন একটি দেশ গ্রেনাডার কথা জানাচ্ছেন মো. ইমরান হোসেন
বাংলাদেশ থেকে ভিসা ছাড়া বিশ্বের কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করা যায়। একদিন বা দুদিন নয়, চাইলে সেখানে মাসখানেক কাটিয়ে আসতে পারবেন। জানতে পারবেন সেখানকার সংস্কৃতি, জীবন, জীবিকাসহ অনেক কিছু। এমনই একটি দেশ গ্রেনাডা। পর্যটক হিসেবে দেশটিতে ঘুরে বেড়াতে চাইলে তবেই অন অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। এবার জেনে নেওয়া যাক দেশটির পরিচিতি।
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ক্যারিবিয়ান সাগরের একটি দ্বীপরাষ্ট্র গ্রেনাডা। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর উত্তর-পশ্চিমে, ভেনিজুয়েলার উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত দেশটি। সেন্ট জর্জ দেশটির রাজধানী ও প্রধান শহর। জায়ফল ও ময়াস ফসল উৎপাদনের কারণে দেশটির সুখ্যাতি রয়েছে। বিশ্বে শীর্ষস্থানীয় মসলা রফতানিকারক দেশের মধ্যে একটি গ্রেনাডা।
গ্র্যান্ড আনস বিচ
সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ আর নারিকেল গাছে ঘেরা এ সৈকতটি। দেশটির সবচেয়ে বিখ্যাত সমুদ্রসৈকত এটি। অনেক রিসোর্ট ও রেস্টুরেন্ট আছে এখানে। সমুদ্রের উদ্দামতা নেই এখানে। তাই অনেক পর্যটক এর শান্ত জলে নিশ্চিন্তে সাঁতার কাটেন।
সেন্ট জর্জ
ক্যারিবীয় অঞ্চলের সবচেয়ে সুন্দর বন্দর শহরগুলোর একটি সেন্ট জর্জ। লাল টাইলসের ছাদ, ইট ও পাথরের ভবনগুলো চোখ জুড়িয়ে দেয়। শহরের স্থানীয়রা মসলা, কারুশিল্প তৈরি ও বিক্রি করে ব্যস্ত সময় পার করেন। শহরের প্রধান আকর্ষণ ফোর্ট জর্জ, যা ১৮ শতকের প্রথম দিকে ফরাসিরা নির্মাণ করেন। আরও রয়েছে ১৭০৪ সালের ফরাসি ব্যারাক, প্রাচীন কারাগার, জাতীয় জাদুঘর, আরাক আর্টিফ্যাক্টসহ ঐতিহাসিক অনেক নিদর্শন। শহরের অন্য আকর্ষণগুলো হলো সেডলল টানেল, যা ১৮৯৫ সালে নির্মিত হয়েছিল। তিন হাজার প্রজাতির ক্যারিবিয়ান গাছপালাও রয়েছে এ শহরে।
ফোর্ট ফ্রেডেরিক
রাজধানীর রিভমন্ড হিলের ওপরে অবস্থিত ফোর্ট ফ্রেডেরিক দুর্গটি। সমুদ্রমুখী দুর্গটি। সমুদ্রের সৌন্দর্য অবলোকন করা যায় এখান থেকে। ফরাসিরা ১৭৭৯ সালে ফোর্ট ফ্রেডেরিক নির্মাণ শুরু করে। ব্রিটিশরা ১৭৯১ সালে এর কাজ শেষ করে।
কেরেনজ
জলপ্রপাতের পাশে ঘুরে বেড়াতে চাইলে কেরেনজ আসতেই হবে। এর পাশে রয়েছে দেশটির ব্যস্ততম ডকইয়ার্ড। কাঠের স্কুনারগুলো এখানে লোড ও আনলোড করা হয়। দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে নানা ধরনের সামুদ্রিক খাবার।
গ্র্যান্ড ইটাং ন্যাশনাল পার্ক ও ফরেস্ট রিজার্ভ
জীবজন্তুর অভয়াশ্রম এটি। নানা প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে এখানে। কয়েকটি লেকও রয়েছে পার্কটিতে। রয়েছে একটি জলপ্রপাত। বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, প্রাণী, বৃক্ষের সঙ্গে পর্যটকদের মিতালি হয় এ পার্কে এলে।
আন্ডারওয়াটার স্কাল্পচার পার্ক
গ্রেনাডার পশ্চিমে পার্কটির অবস্থান। এটি কৃত্রিম প্রবাল হিসেবে কাজ করে। এখানে নামকরা অনেক শিল্পীর ভাস্কর্য রয়েছে। ডুবুরির বেশে কিংবা কাচের নৌকা দিয়ে পরিদর্শন করতে পারবেন। দেখতে পারবেন শিল্পকর্মগুলো।
Add Comment