পাসপোর্ট-সময়-ভ্রমণ: ঘুরে আসুন সোনালি বালির দ্বীপে

 

 

ঘুরে বেড়াতে কে না পছন্দ করে। ভ্রমণপ্রিয় মানুষ দেশ থেকে দেশে বেড়াতে ভালোবাসেন। তবে ইচ্ছা থাকলেও ভিসা জটিলতার কারণে অনেকে দেশের বাইরে যেতে পারেন না। এরপরও আপনার যদি পাসপোর্ট ও হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকে, তাহলে বিনা ভিসায় বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন মো. ইমরান হোসেন

বাংলাদেশ থেকে ভিসা ছাড়াই বিশ্বের কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করা যায়। একদিন বা দুদিন নয়, চাইলে সেখানে মাসখানেক কাটিয়ে আসতে পারবেন। জানতে পারবেন সেখানকার সংস্কৃতি, জীবন-জীবিকাসহ অনেক কিছু। এমনই একটি দেশ ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো। আপনি যদি পর্যটক হিসেবে বেশ কিছুদিনের জন্য ফিজিতে ঘুরে বেড়াতে চান, তবেই অন অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন।

ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। রাজধানীর নাম পোর্ট অব স্পেন। এটি ৩১ আগস্ট ১৯৬২ স্বাধীনতা লাভ করে। ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর উত্তর-পূর্বে ভেনিজুয়েলা, দক্ষিণে গ্রানাডা, দক্ষিণ-পূর্বে বার্বাডোজ অবস্থিত। দ্বীপরাষ্ট্রটির মোট আয়তন ৫১৩১ বর্গকিলোমিটার। এটি মূলত ত্রিনিদাদ আর টোবাগো নামের দুটি দ্বীপের সমষ্টি। এছাড়াও এখানে আরও অনেক দ্বীপ আছেÑযা মানুষের বসবাসের অনুপযোগী কিন্তু ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে এগুলো অত্যন্ত আকর্ষণীয়।

মারাকাস বে: পোর্ট অব স্পেন থেকে উত্তর-পূর্বে মারাকাস বে ত্রিনিদাদের সবচেয়ে বিখ্যাত সমুদ্রসৈকত। এটির গভীরে রয়েছে সোনালি বালি। সৈকতের পাশে রয়েছে অসংখ্য খেজুর গাছ। ত্রিনিদাদের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান এটি। সাঁতার কাটা ছাড়াও নৌকা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো যায় সৈকতে।

পোর্ট অব স্পেন: দেশটির রাজধানী হচ্ছে পোর্ট অব স্পেন।

শৈলী আর্কিটেকচারের পাশাপাশি কয়েক হাজার বছরের পুরোনো স্থাপত্য নিয়ে গঠিত এই শহর। রেড হাউজ সংসদ, কুইন পার্ক, সাভানাহের বিস্তৃত হীরার স্থানগুলোর সঙ্গে মার্জিত মহল আছে এ শহরে। পার্কের পাশে রয়্যাল বোটানিক্যাল গার্ডেন, প্রেসিডেন্টের গ্র্যান্ড নিবাস, জাতীয় জাদুঘর ও আর্ট গ্যালারি দেখতে পাবেন এখানে।

কেরোনি বার্ড স্ট্যাচুউচুয়ি: পোর্ট অব স্পেনের দক্ষিণে কেরোনি বার্ড অভয়ারণ্যটি প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য একটি দর্শনীয় স্থান। ম্যানগ্রোভ রেখাযুক্ত জলপথের পাশে দেখতে পাবেন লাল রঙের পাখি কেরোনি। যেটি ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর জাতীয় পাখি নামে পরিচিত। যে কোনো দুপুরে আপনি নৌকা আর ক্যামেরা নিয়ে হাজার হাজার পাখির দর্শন লাভ করতে পারবেন এখানে।

লিটল টোবাগো আইল্যান্ড: টোবাগোর পূর্বদিকে স্পিইসাইডের মধ্যে  লিটল টোবাগো দ্বীপটি অবস্থিত। কয়েক কিলোমিটার পথের সঙ্গে এটি একটি নির্জন পাখির আশ্রয়স্থলও বটে। সবচেয়ে দর্শনীয় দৃশ্যগুলো পাহাড়ের দিকে। যেখানে বড় বড় মেষপালের দল আপন মনে বিচরণ করছে।

মাউন্ট সেন্ট বেনিডিক্ট আশ্রম: টানাপুনার উত্তর রঞ্জি পাহাড়ের ওপরে সেন্ট বেনিডিক্ট লাল ছাদযুক্ত গির্জার টাওয়ারটি সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থানগুলোর একটি। বেনডিকটাইনের সন্ন্যাসীরা ১৯১২ সালে এ সম্প্রদায়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আশ্রমটি ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের বৃহত্তম ও প্রাচীনতম।

ফোর্ট কিং জর্জ ও টোবাগো জাদুঘর: ১৭৮০ সালে নির্মিত ফোর্ট কিং জর্জ জাদুঘরটি। এখনও জীবিত মূল ইট ও পাথরের দেয়ালের অবশিষ্টাংশ, একটি প্রাচীন কারাগার, অফিসারদের মেস, বেশ কয়েকটি ক্যানন, একটি বাতিঘর, এন্টিকের মানচিত্র, আফ্রিকান শিল্প, অ্যামেন্ডির প্রাচীন শিল্পকলা, মুদ্রা এবং শেলগুলো সংগ্রহ করা হয়েছে এ জাদুঘরে।

সংস্কৃতি: ক্রিকেট ম্যাচ দেখার সুবাদে সবাই জানেন যে, ত্রিনিদাদ-টোবাগো হচ্ছে বিখ্যাত ক্যালিপসো গানের জš§দাতা। এছাড়া স্টিল প্যান আছেÑযা একমাত্র দেশজ বাদ্য, যার খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। রিও কার্নিভালের পরই সবচেয়ে বিখ্যাত কার্নিভাল হচ্ছে এই ত্রিনিদাদ কার্নিভাল। তবে এ কার্নিভাল ছোটদের দেখা নিষিদ্ধ। কারণ শিল্পীদের  ছোট পোশাকে থাকতে দেখা যায়। হ

 

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০