পাসপোর্ট-সময়-ভ্রমণ: ছোট্ট সুন্দর দেশ লেসোথো

পর্যাপ্ত সময় ও পাসপোর্ট থাকলে বিনা ভিসায় কিছু দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। আজ এমন একটি দেশ লেসোথোর কথা জানাচ্ছেন মো. ইমরান হোসেন

বাংলাদেশ থেকে ভিসা ছাড়া বিশ্বের কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করা যায়। একদিন বা দুদিন নয়, চাইলে সেখানে মাসখানেক কাটিয়ে আসতে পারবেন। জানতে পারবেন সেখানকার সংস্কৃতি, জীবন-জীবিকাসহ অনেক কিছু। এমনই একটি দেশ লেসোথো। পর্যটক হিসেবে বেশ কিছুদিনের জন্য দেশটিতে ঘুরে বেড়াতে চাইলে তবেই অন অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন। এবার জেনে নেওয়া যাক দেশটির পরিচিতি।

লেসোথোর অবস্থান আফ্রিকার দক্ষিণে। অতীতে দেশটি বাসুতোল্যান্ড নামে পরিচিত ছিল। বিশ্বে মাত্র তিনটি দেশ অন্য দেশ দ্বারা সম্পূর্ণভাবে পরিবেষ্টিত। এগুলো হচ্ছেÑলেসোথো, সান ম্যারিনো ও ভাটিকান সিটি। লেসোথোর সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার স্থলসীমান্ত রয়েছে।

লেসোথো ১৯৬৬ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। কিন্তু বহির্বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর দেশটি নির্ভরশীল। দেশটি মূলত পর্বতময়। লেসোথোর রাজধানী ও বৃহত্তম শহর মাসেরু। পৃথিবীর ক্ষুদ্র দেশগুলোর মধ্যে একটি লেসোথো।

তাস’হাল্লানিয়া ন্যাশনাল পার্ক

তাস’হাল্লানিয়া লেসোথোর জাতীয় উদ্যান। দেশটির বৃহত্তম পার্ক। পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে সবুজ অরণ্য দেখার সঠিক জায়গা এটি। বিরল প্রজাতির বৃক্ষ রয়েছে এখানে।

ক্যাটসে ড্যাম অ্যান্ড বোটানিক্যাল গার্ডেনস

অন্যতম দর্শনীয় স্থান এটি। লেসোথো হাইল্যান্ডস ওয়াটার প্রজেক্টের কেন্দ্রে এর অবস্থান। পাহাড়ের মধ্য দিয়ে বয়ে চলেছে এটি। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার ফ্রি স্টেট প্রদেশের সমভূমির মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বাঁধের ওপর নৌকায় চড়ে দেশটির অনেক গ্রাম দেখতে পাবেন। এখানকার ঘোড়দৌড় বেশ মনোমুগ্ধকর।

সানি পাস

স্থানীয় ও পর্যটকদের মতে, আশ্চর্যজনক স্থান এই সানি পাস। পাহাড়ের ওপর বাইকিংয়ের জন্য অনেক পর্যটক আসেন এখানে।

সেমনকং ফলস

দেশটির অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। জলপ্রপাতটি মাল্টসুনাইন নামেও পরিচিত।

কোম কেভ ডুয়েলিংস

১৯ শতকের প্রথম দিকে একদল উপজাতি এ গ্রামকে খুঁজে নেয়। এরপর পেরিয়ে যায় অনেক বছর, ধীরে ধীরে বসবাসের উপযুক্ত হয় গ্রামটি। পাহাড়ের পাদদেশে বড় পাথর খোদাই করে তৈরি করা হয়েছে ঘরবাড়ি। ঘরবাড়িগুলো ক্ষুদ্রাকৃতির। অনেকটা কচ্ছপের মতো দেখতে।

মাসেরু

দেশটির প্রধান শহর ও রাজধানী। কেন্দ্রীয় ব্যাংক, সংসদ ভবন, স্টেডিয়াম, টেনিস কোর্ট, সুইমিংপুল, সিনেমা হল, জাদুঘর, রেস্টুরেন্ট রয়েছে এ শহরে। লেথোসের সবচেয়ে উন্নত শহরও এটি। আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া লেগেছে এ শহরে। হ

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০