ঘুরে বেড়াতে কে না পছন্দ করে। ভ্রমণপ্রিয় মানুষ দেশ থেকে দেশে বেড়াতে ভালোবাসেন। তবে ইচ্ছা থাকলেও ভিসা জটিলতার কারণে অনেকে দেশের বাইরে যেতে পারেন না। এরপরও আপনার যদি পাসপোর্ট ও হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকে, তাহলে বিনা ভিসায় বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন মো. ইমরান হোসেন
বাংলাদেশ থেকে ভিসা ছাড়াই বিশ্বের অনেক দেশ ভ্রমণ করা যায়। একদিন বা দু’দিন নয়, চাইলে সেখানে মাসখানেক কাটিয়ে আসতে পারেন। জানতে পারবেন সেখানকার সংস্কৃতি, জীবন, জীবিকাসহ অনেক কিছুই। এমনই একটি দেশ ভুটান।
ভুটানকে বলা হয় ‘ড্রাগন দেবতার দেশ’। ‘বজ্রপাতের দেশ’ নামেও পরিচিত। নাম শুনে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কেননা শুধু দক্ষিণ এশিয়াতেই নয়, বিশ্বের অন্যতম শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে এর সুনাম রয়েছে।
হিমালয় পর্বতমালার পূবে দেশটির অবস্থান। ভুটানের উত্তরে চীনের তিব্বত অঞ্চল ও দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিমে ভারত। এবার জানা যাক, এ দেশের কোথায় কোথায় ঘোরাঘুরি করবেন।
থিম্পু: ভুটানের রাজধানী থিম্পু। স্থানটি ‘থিম্পু ভ্যালি’ নামেও পরিচিত। বিশ্বের অন্যতম ক্ষুদ্র রাজধানী এটি। এ শহরে নেই কোনো ভিক্ষুক। নেই কোনো গৃহহীন মানুষ।
তাশিকো দেজং: ১৯৬১ সালে নির্মিত দালানটি দেশের প্রধান সচিবালয়। একইসঙ্গে এটি পার্লামেন্ট ভবন, রাজার কার্যালয় ও দেশের ধর্মীয় প্রধানদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রাসাদটির কারুকাজ আপনাকে মুগ্ধ করবে নিশ্চিত।
সিমতোখা দেজং: এ দুর্গটির অবস্থান রাজধানী থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে। ১৬২৭ সালে দেশটির প্রথম রাজা সাবদ্রুং নাওয়াং ন্যামজেল এটি নির্মাণ করেন। এখানের দেয়ালে দেয়ালে যেন ছড়িয়ে আছে প্রাচীন দিনের রাজাদের জীবনযাপনের ইতিহাস।
পারো ভ্যালি: ভুটানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এটি। এ শহরের বিমানবন্দরটি খুব বিপজ্জনক। তবে বেশ নয়নাভিরাম। ভুটানের সর্বাপেক্ষা আকর্ষণীয় জায়গা পারো ভ্যালি।
জিগমে দর্জি ন্যাশনাল পার্ক: ভুটানের সবচেয়ে বড় সংরক্ষিত বনাঞ্চল। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় অভয়ারণ্যও বটে।
বুমথাং: জায়গাটি টংসা ভ্যালির পূর্বদিকে। এখানকার আবহাওয়া খুব নির্মল ও মনোরম। পাশাপাশি দেশের ধর্মীয় নগরী বলেও খ্যাত এ জায়গা।
থাসিংগাং: এখানকার দেজংগুলো ১৭ শতকে নির্মিত। থাসিংগাংকে বৌদ্ধ ভিক্ষু ও সন্ন্যাসীদের গৃহনগর বলা হয়।
যেভাবে যাবেন: একজন বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে আপনি দেশটিতে অন অ্যারাইভাল ভিসা পাবেন। এজন্য প্রথমে দেশটির কোনো স্থল বা বিমানবন্দরে যেতে হবে। ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জায়গায় কিছু ট্যুর অপারেটর রয়েছে, যারা ভুটানে ট্যুর পরিচালনা করে।