পাসপোর্ট-সময়-ভ্রমণ: বিচ পার্ক ও গুহার বারবাডোজ

পর্যাপ্ত সময় ও পাসপোর্ট থাকলে বিনা ভিসায় কিছু দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। আজ এমন একটি দেশ বারবাডোজের কথা জানাচ্ছেন মো. ইমরান হোসেন

বাংলাদেশ থেকে ভিসা ছাড়াই বিশ্বের কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করা যায়। একদিন বা দুদিন নয়, চাইলে সেখানে মাসখানেক কাটিয়ে আসতে পারবেন। জানতে পারবেন সেখানকার সংস্কৃতি, দেশটির বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকাসহ অনেক কিছু। এমনই একটি দেশ বারবাডোজ। আপনি পর্যটক হিসেবে বেশ কিছুদিনের জন্য ঘুরে বেড়াতে চাইলে তবেই অন অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন। এবার দেশটির অবস্থান ও কয়েকটি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনে নিতে পারেন।

ক্যারিবীয় সাগরের পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের একটি দ্বীপরাষ্ট্র বারবাডোজ। প্রায় তিন শতাব্দী ধরে ব্রিটিশ উপনিবেশে ছিল দেশটি। ১৯৬৬ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। অ্যাংলিকান গির্জা থেকে শুরু করে জাতীয় খেলা ক্রিকেট পর্যন্ত দেশটির প্রায় সবখানেই ব্রিটিশ ঐতিহ্যের ছাপ সুস্পষ্ট। দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত ব্রিজটাউন দেশটির বৃহত্তম শহর, প্রধান বন্দর ও রাজধানী।

ক্রেন বিচ

বারবাডোজের সবচেয়ে বিখ্যাত সমুদ্রসৈকত এটি। স্থানটিকে গোলাপি বালির দ্বীপও বলা হয়। দেশটির পুরোনো হোটেলগুলোর অবস্থান এখানে। সমুদ্রের গর্জন ও সাঁতার কাটতে পর্যটকরা এখানে ভিড় জমান।

বাতশেবা

অদ্ভুত একটি গ্রাম বাতশেবা। এখানে আছে ছোট ছোট বোটানিক্যাল গার্ডেন ও হাজারো ফুলের সমারোহ। বাতশেবায় সমুদ্রের মধ্যে জেগে আছে ছোট ছোট দ্বীপ, যা পর্যটকদের খুব টানে। ছবি তোলার জন্য জায়গাটি চমৎকার। তবে পানিতে নামা নিষিদ্ধ।

 

পার্লামেন্ট হাউস

বারবাডোজের সংসদ ভবনটি দেশটির রাজধানীতে অবস্থিত। ভবনটি চুনাপাথর দিয়ে নির্মিত। ভবনটিতে জাতীয় বীরদের গ্যালারি ও জাদুঘর রয়েছে। দেশটির ইতিহাস জানতে চাইলে ঘুরে বেড়াতে পারেন এখানে।

অ্যানড্রোমেডা বোটানিক গার্ডেন

পৃথিবীর নানা অঞ্চলের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় উদ্ভিদ দিয়ে সাজানো হয়েছে অ্যানড্রোমেডা বোটানিক গার্ডেন। নাম না জানা হাজারো উদ্ভিদের সন্ধান পাওয়া যাবে এখানে। বিরল প্রজাতির সিকুয়েলস ও পাম্প পাওয়া যায়। পাখি দেখার জন্যও জায়গাটি চমৎকার।

হ্যারিসন’স কেভ

চুনাপাথর ও জলপ্রপাত অনন্য করে তুলেছে গুহাটিকে। বৈদ্যুতিক গাড়িতে চড়ে গুহাটি ঘুরে বেড়াতে পারবেন। এর ভেতরের গভীর পুলটির জলধ্বনি শুনতে পারবেন। গুহাটির কাছাকাছি একটি ভিজিটর কেন্দ্রে ভারতীয় শিল্পকর্ম দেখতে পাবেন।

 

ফার্লি হিল ন্যাশনাল পার্ক

পর্বতমালার উপর হাজার বছরের পুরোনো বাড়ি, তার চারপাশে নানা ধরনের গাছ, সুগন্ধি ফুলের বাগান নিয়ে প্রায় ১৪ একরজুড়ে ফার্লি হিল ন্যাশনাল পার্ক। বিয়ের জন্য পার্কটিকে বেছে নেন অনেকে। বার্বাডোজের ইতিহাসের প্রতিনিধিত্ব করে এ পার্ক।

ফোকস্টোন মেরিন পার্ক

একটি কৃত্রিম প্রবল প্রাচীর। ৩৬০ ফুট লম্বা একটি জাহাজ ডুবিয়ে দেওয়া হয় এখানে। তখন থেকে এর নাম হয়ে যায় ফোকস্টোন মেরিন পার্ক। পানির নিচে খাড়াভাবে দাঁড়িয়ে আছে জাহাজটি। এখানে বংশবিস্তার করেছে অংসখ্য জলজ প্রাণী। বিশেষ ব্যবস্থায় এখানে নামতে পারবেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০