পাসপোর্ট-সময়-ভ্রমণ: সৈকত ও বুনোপ্রাণীর গাম্বিয়া

পর্যাপ্ত সময় ও পাসপোর্ট থাকলে বিনা ভিসায় কিছু দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন। আজ এমন একটি দেশ গাম্বিয়ার কথা জানাচ্ছেন মো. ইমরান হোসেন

বাংলাদেশ থেকে ভিসা ছাড়া বিশ্বের কয়েকটি দেশ ভ্রমণ করা যায়। একদিন বা দুদিন নয়, চাইলে সেখানে মাসখানেক কাটিয়ে আসতে পারবেন। জানতে পারবেন সেখানকার সংস্কৃতি, জীবন-জীবিকাসহ অনেক কিছু। এমন একটি দেশ গাম্বিয়া। পর্যটক হিসেবে বেশ কিছুদিনের জন্য দেশটিতে ঘুরে বেড়াতে চাইলে তবেই অন অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবেন। শুরুতে জেনে নেওয়া যাক দেশটির পরিচিতি।

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। মহাদেশটির মূল ভূখণ্ডের ক্ষুদ্রতম দেশ। এর উত্তর, পূর্ব ও দক্ষিণে সেনেগাল। পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগর। বাঞ্জুল দেশটির রাজধানী। সেরেকুন্দা দেশটির বৃহত্তম শহর।

গাম্বিয়া কৃষিপ্রধান দেশ। চীনাবাদাম তাদের প্রধান উৎপাদিত শস্য ও প্রধান রফতানি দ্রব্য। পর্যটনশিল্প থেকেও আয় হয়। আটলান্টিক সাগরের উপকূলের সমুদ্রসৈকতগুলোয় ঘুরতে ও নদীগুলোর বিচিত্র পাখপাখালি দেখতে পর্যটকরা দেশটিতে ভিড় করেন।

গাম্বিয়া উনিশ শতকে ব্রিটিশ উপনিবেশে পরিণত হয়। ১৯৬৫ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার পর দেশটিতে স্থিতিশীল গণতন্ত্র চালু হয়। তবে দেশটির বেশিরভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন।

আবুকু নেচার রিজার্ভ প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যেতে চাইলে এখানে বেড়াতে পারেন। এই রিসোর্টে ৩০০ প্রজাতির পাখি, সরীসৃপ প্রাণী, বনভূমি, বানর ও

কুমির রয়েছে। এখানকার জেফারহ ও আলবেডা গ্রাম দুটি ঔপনিবেশিক ইতিহাস ধারণ করছে আজও।কিয়াং ওয়েস্ট ন্যাশনাল পার্ক পাখিদের অভয়াশ্রম এ পার্ক। আফ্রিকা মহাদেশে পার্কটির বিকল্প নেইÑএমনই দাবি অনেকের। সবুজ ঘাস, শুষ্ক বনভূমি ও ছোট-বড় অসংখ্য পাখি রয়েছে এখানে। এছাড়া বেবুনস, ওয়ারথগ, বুশবাবি, মার্শ মঙ্গোওস ও কলোবাস বানরসহ স্তন্যপায়ী প্রাণীদের আবাসস্থল এটি। ডলফিন ও হেইনাস দেখার সুযোগ রয়েছে এখানে।

কোতু

গাম্বিয়ার প্রধান সমুদ্রসৈকত। ছুটি কাটানোর উত্তম স্থান। এখানেও বন্যপ্রাণী ও পাখিদের আবাসস্থল রয়েছে। নানা ধরনের রেসিংয়ের জন্যও এলাকটি বিখ্যাত। পাশাপাশি মাছ ধরার ব্যবস্থা ও স্নোরকেলিংয়ের ব্যবস্থা আছে।

মাকাসুটু কালচার ফরেস্ট

গাম্বিয়ার সুপরিচিত ইকো ফরেস্ট এটি। নানা প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে এখানে।

ওয়াসু স্টোন সার্কেলস

প্রাচীন পাথর নিয়ে পূর্ব গাম্বিয়ায় গড়ে উঠেছে এলাকাটি। একে প্রাচীন কবরস্থান মনে করেন অনেকে। এলাকাটি প্রায় ১২০০ বছরের পুরোনো।

বাঞ্জুল

দেশটির রাজধানী। এখানে রয়েছে জাতীয় জাদুঘর ও ঔপনিবেশিক স্থাপত্য। কেনাকাটার জন্য রয়েছে নামকরা অ্যালবার্ট মার্কেট।

সেরেকুন্ডা অ্যান্ড আটলান্টিক কোস্ট

নাইট ক্লাব ও উন্নত মানের কয়েকটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে এখানে। সেরেকুন্ডা দেশটির বৃহত্তম শহরও বটে। এখানে পর্যটকদের আনাগোনা একটু বেশিই। হ

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০