পাহাড়ে টমেটোর বাম্পার ফলন

শেয়ার বিজ ডেস্ক: পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গার পাহাড়ে টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে। পাহাড়ের বুকে এই টমেটো চাষ করে সফল হয়েছেন আবু সাঈদ। সীমান্তঘেঁষা পাহাড়ের বুকে যতদূর চোখ যায়, টমেটোর সমারোহ। সারি সারি গাছে বাঁশের কঞ্চিতে ঝুলছে লাল টকটকে টমেটো। আবু সাঈদের সাফল্যে স্থানীয় অনেক চাষি টমেটো চাষে এগিয়ে আসছেন।

চাষি আবু সাঈদ জানান, তিনি ২০ একর জায়গা লিজ নিয়ে চাষাবাদ শুরু করেন। এর মধ্যে চার একর জায়গায় টমেটো চাষে ১৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। এই জমির টমেটো কমপক্ষে ৪০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি। বগুড়া থেকে স্মার্ট-১২১৭ জাতের চারা এনে রোপণের ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে টমেটো বাজারজাত করা হচ্ছে। এ ছাড়া টমেটো চাষকে কেন্দ্র করে বহু শ্রমজীবী পরিবারের জীবিকার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে।

তিনি আরও জানান, টমেটো চাষে সাফল্য ধরে রাখতে হলে কৃষি বিভাগকে এগিয়ে আসতে হবে। কৃষিকাজে কৃষি অফিসের অফিস থেকে আরও বেশি সহযোগিতা প্রয়োজন।

মাটিরাঙ্গা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আমজাদ হোসেন বলেন, ‘সাধারণত শীত মৌসুমে টমেটো চাষ হলেও আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি আর নতুন নতুন উদ্ভাবিত জাতের কল্যাণে সারাবছরই তা চাষ হচ্ছে। এতে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় পাহাড়ের মাটিতে জৈব সার ব্যবহার করে পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে টমেটো চাষ করে সফলতা পেয়েছেন আবু সাঈদ। কৃষি বিভাগ থেকে আবু সাঈদসহ সব চাষিকে সব সময় প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়।’

খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কিশোর কুমার মজুমদার বলেন, ‘আমাদের দেশে নানা জাতের টমেটোর চাষ হয়। ভিটামিন ও পুষ্টিসমৃদ্ধ সবজি হিসেবে টমেটোর গুণের শেষ নেই। সারাবিশ্বে আলুর পরই টমেটো উৎপন্ন হয়। অধিকাংশ দেশেই টমেটো অন্যতম প্রধান সবজি। টমেটো কাঁচা-পাকা এবং রান্না করে খাওয়া হয়। প্রতি মৌসুমে বিপুল পরিমাণ টমেটো সস, চাটনি, জুস ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহƒত হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘টমেটোর পুষ্টির পাশাপাশি ভেষজ মূল্যও আছে। এর শাঁস ও জুস হজমকারক ও ক্ষুধাবর্ধক এবং রক্তশোধক হিসেবেও কাজ করে। টমেটো একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি। টমেটো বিশেষ করে সালাদ হিসেবেও বেশ প্রচলিত।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০