নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি আর্থিক বছরের ৯ মাসে রতনপুর স্টিলের (আরএসআরএম) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) এর আগের আর্থিক বছরের তুলনায় ৪৩ পয়সা বেড়েছে বেশি। অন্যদিকে কোম্পানিটির বর্তমান মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) এক অঙ্কে (৯.০১) রয়েছে। তাই আয়ে গতি ফেরা ও বিনিয়োগ উপযোগী অবস্থানের কারণেই কোম্পানিটির শেয়ারদর বাড়ছে। গত সাত কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর প্রায় সাড়ে ৩৮ শতাংশ বেড়েছে।
তথ্যমতে, পিই রেশিও এক অঙ্কে নেমে আসা, তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত সময়ে আয়ে এগিয়ে থাকা ও লভ্যাংশ ঘোষণাকে সামনে রেখে ওই কোম্পানির প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) গত ১৮ জুন থেকে গতকাল (সোমবার) পর্যন্ত সাত কার্যদিবসে আরএসআরএমের শেয়ারদর ১৮ টাকা ৬০ পয়সা বা সাড়ে ৩৮ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে ৪৮ টাকা ৪০ পয়সা থেকে একটা বেড়ে গতকাল কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৬৭ টাকায় লেনদেন হয়েছে।
জানা গেছে, চলতি আর্থিক বছরের তৃতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত ৯ মাসে আরএসআরএমের ইপিএস দাঁড়িয়েছে পাঁচ টাকা ৫৮ পয়সা। যা এর আগের আর্থিক বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৩ পয়সা বেশি। এ আগের (২০১৫-১৬) আর্থিক বছরের ৯ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস ছিল পাঁচ টাকা টাকা ১৫ পয়সা।
আরএআরএমের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশের কারণে কোম্পানির বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। বাজারে প্রতিযোগিতার পরও আয় বাড়ছে। তাই কোম্পানিটি আগের বছরের তুলনায় ভালো অবস্থানে থাকা ও লভ্যাংশ ঘোষণাকে সামনে রেখে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে।
এদিকে ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পর গত তিন বছরে আরএসআরএমের আয়-মুনাফায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ওই আর্থিক বছরে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী মুনাফা ছিল পাঁচ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। যা সর্বশেষ সমাপ্ত ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে ৭০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা হয়েছে। ওই আর্থিক বছরে বিনিয়োগকারীদের পাঁচ শতাংশ নগদ ও ১৭ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে কোম্পানিটি।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ৩০ টাকা প্রিমিয়ামসহ আড়াই কোটি শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করেছে আরএসআরএম গ্রুপের কোম্পানি আরএসআরএম স্টিল। পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থে ঋণ পরিশোধের ঘোষণা দিয়ে বিতর্কের মধ্যে পড়ে ‘পরিবার নিয়ন্ত্রিত’ ওই কোম্পানিটি। বর্তমানে আরএসআরএম স্টিলের মোট প্রায় আট কোটি ৬৪ লাখ শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে ৪৭ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৬ দশমিক ৯২ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।