নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: সীতাকুণ্ডে রেলওয়ের একটি জায়গার মালিকানা নিয়ে চট্টগ্রামের শিল্প গ্রুপ পিএইচপি ও কেএসআরএমের মধ্যে গত সপ্তাহে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটে। এটি পুরোপুরি ভুল বোঝাবুঝির ফল বলে মনে করছে দু’পক্ষ। আর এ ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, সেজন্য চট্টগ্রামের বৃহৎ শিল্প গ্রুপ পিএইচপি ফ্যামিলির সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে আরেক শিল্প গ্রুপ কেএসআরএম। গতকাল আলাপকালে এমনটাই জানায় কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম।
সূত্রমতে, গত কয়েক মাস ধরে সীতাকুণ্ডে আনোয়ারা জুট মিলস এলাকায় অবস্থিত চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী শাহজাহানের মালিকানাধীন কেএসআরএম ও নড়ালিয়া এলাকায় অবস্থিত আরেক চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সুফি মিজানের মালিকানাধীন পিএইচপি গ্লাস ফ্যাক্টরির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধপূর্ণ জায়গাটি নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকবার উভয় শিল্প গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। এ বিরোধের জেরে দুই শিল্পপ্রতিষ্ঠানের আনসার সদস্যদের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার গোলাগুলি ও পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ-সংক্রান্ত একটি সংবাদ শেয়ার বিজের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়।
এ বিষয়ে কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম শেয়ার বিজকে বলেন, আসলে বিষয়টি ছিল পুরোপুরি ভুল বোঝাবুঝি। এ দুই শিল্পই চট্টগ্রামের বড় শিল্প গ্রুপ। আর এ সমস্যা সমাধানের জন্য উভয় শিল্প গ্রুপের মালিক পর্যায়ে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। আশা করছি এর একটি সুন্দর সমাধান আসবে। যেটা আপনারা শিগগিরই জানবেন।
তবে এ বিষয়ে পিএইচপি গ্রুপের পক্ষে থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, সীতাকুণ্ডে আনোয়ারা জুট মিলস এলাকায় অবস্থিত জায়গাটি স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলমের কাছ থেকে ১৯৬৪ সালে রেলওয়ে অধিগ্রহণ করে। পরবর্তীকালে সেখানে তৎকালীন মালিকের পৃথক ওয়ারিশরা সেটি পুনরায় লিজ নিয়ে এক পক্ষ পিএইচপিকে লিজ দেয়। পরে অন্য এক ওয়ারিশ কেএসআরএমের কাছে দখলস্বত্ব বিক্রি করে। এতে পিএইচপি ও কেএসআরএম উভয় পক্ষই জায়গাটি তাদের বলে দাবি করছে। এ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে প্রায়ই পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে ফের কেএসআরএম স্টিল মিলসের আনসার ও শ্রমিকরা পিলার এবং কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলে উভয় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের আনসারদের মধ্যে গোলাগুলি ও পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পিএইচপি গ্লাস ফ্যাক্টরির আনসাররা কেএসআরএম স্টিল মিলস ফ্যাক্টরিতে প্রবেশ করলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে ঘটনাস্থলে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।