নিজস্ব প্রতিবেদক: আয়কর আদায় নিশ্চিত করতে হলে রিটার্ন দাখিল বাড়ানোর বিকল্প নেই। করযোগ্য ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে রিটার্ন দাখিলে উৎসাহিত করতে কাজ করছে দেশের সব কর অঞ্চল। আর যেসব সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণক (পিএসআর) যাচাই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, তা যাচাই করা হচ্ছে কিনা-তাও তদারকি করা হচ্ছে।
অপরদিকে, রাজস্ব আদায়ের বড় উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে উৎসে কর আদায়। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান উৎসে কর কর্তন করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে। সঠিকভাবে উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) করা হচ্ছে কিনা-তাও কর অঞ্চলগুলো যাচাই করছে।
স্বল্প মেয়াদী রাজস্ব আহরণ কৌশল বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণক (পিএসআর) যাচাই ও উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) কার্যক্রম বাস্তবায়নে বিশেষ টিম গঠন করেছে কর অঞ্চল-১২, ঢাকা। এই টিম রোববার (৩ মার্চ) থেকে কাজ শুরু করেছে। কর অঞ্চল-১২, ঢাকার প্রধান সমন্বয়নকারী সহকারী কর কমিশনার মো. রেজাউল গনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, স্বল্প মেয়াদী রাজস্ব আহরণ কৌশলপত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণক (পিএসআর) ও উৎসে কর কর্তন (টিডিএস)কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য কর কমিশনার, কর অঞ্চল-১২, ঢাকা বিশেষ টিম গঠন করেছে। এই টিম ৩ মার্চ রোববার সাভার উপজেলা, ধামরাই উপজেলা ও আশুলিয়া থানা এলাকায় কাজ শুরু করেছেন। এই তিন উপজেলার সরকারি ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, এনজিও, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও ক্লিনিক সরেজমিনে পরিদর্শনের মাধ্যমে যাচাই ও সচেতনতা মূলক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
ছয়জন কর পরিদর্শকের সমন্বয়ে গঠিত এই বিশেষায়িত টিম অধীক্ষেত্রাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহে সফলভাবে প্রথমদিন ২০টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন। প্রথম দফায় ছয় কার্য দিবস পরিদর্শন কার্যক্রম অব্যাহতভাবে পরিচালিত হবে। কর অঞ্চল-১২ এর কর কমিশনার মো. শাহাদাৎ হোসেন শিকদারের নির্দেশে পিএসআর যাচাই ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পূর্ণ তদারকির জন্য সংশ্লিষ্ট কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার,পরিদর্শী রেঞ্জ-৪ মোনালিসা শাহ্রীন সুস্মিতা দায়িত্ব পালন করছেন। ফলপ্রসূ এই কার্যক্রমের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টির করে করনেট বৃদ্ধি ও রাজস্ব আহরণ তরান্বিত করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।