নিজস্ব প্রতিবেদক: অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় অধিকতর যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ তারিখ নির্ধারণ করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এই মামলার সাক্ষী আরিফুল ইসলাম। তিনি ব্যাংকার। জবানবন্দি দেওয়ার সময় তিনি কিছু ডকুমেন্টস সাবমিট করতে পারেননি। দুদকের পক্ষে আজকে ওই ডকুমেন্টসগুলো সাবমিট করা হয়। এর পর আমরা ওই সাক্ষীকে জেরা করি। এর পর আদালত আগামী বুধবার মামলাটিতে অধিকতর যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের তারিখ ঠিক করেছেন।
আসামিদের মধ্যে সুকুমার মৃধা, অনিন্দিতা মৃধা, অবন্তিকা বড়াল ও শংখ বেপারী কারাগারে আছেন। এদিন শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। পিকে হালদারসহ ১০ জন পলাতক আছেন। পলাতক অপর আসামিরা হলেন—পিকে হালদারের মা লিলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রিতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।
২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পিকে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন। মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে দুদক৷ চার্জশিটে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় ১ কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
গত বছর ৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।