নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিমা খাতের কোম্পানি পিপলস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড গত সপ্তাহে দর বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৭১ শতাংশ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, গত সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ছয় কোটি পাঁচ লাখ ২১ হাজার ৫০০ টাকার শেয়ার। সপ্তাহ শেষে মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৪ কোটি ২০ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে পিপলস ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের শেয়ারদর আট দশমিক ৭০ শতাংশ বা দুই টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩০ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৯ টাকা ২০ পয়সা। দিনজুড়ে ৩১ লাখ এক হাজার ৬৭টি শেয়ার এক হাজার ২১৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৯ কোটি ৩১ লাখ ৯৮ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিন্ম ২৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ১৩ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৩০ টাকা ৩০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য বিমা খাতের কোম্পানিটি আট শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৮৭ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ১৪ পয়সা। আগের বছর একই সময় যা ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৫৬ পয়সা ও ২৫ টাকা ৮৭ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে তিন টাকা ৩৮ পয়সা, আগের বছর যা ছিল দুই টাকা ৮৯ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় অনলাইনে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৪৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৪৫ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩১ মার্চ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৫৮ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩১ মার্চে ছিল ২৬ টাকা ৩৩ পয়সা।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নিটল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ৩০ দশমিক ৯১ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন পাঁচ কোটি ৮৫ লাখ ৯৪ হাজার ৫০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৪৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকার শেয়ার।
৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে তিন টাকা ২২ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫ টাকা ৮৯ পয়সা। আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে দুই টাকা ৯৬ পয়সা ও ২৪ টাকা ১৭ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে তিন টাকা ১৩ পয়সা, আগের বছর যা ছিল তিন টাকা ২৪ পয়সা।
দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২০) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ২১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৭১ পয়সা। এছাড়া ২০২০ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২৭ টাকা ৪৪ পয়সা, যা ২০১৯ সালের ৩০ জুনে ছিল ২৪ টাকা ১৮ পয়সা। প্রথম দুই প্রান্তিক বা ছয় মাসে (জানুয়ারি-জুন, ২০২০) শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৭১ পয়সা, আগের বছর একই সময় ছিল দুই টাকা সাত পয়সা।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ বা তিন টাকা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৩৬ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৬ টাকা। দিনজুড়ে ২৭ লাখ আট হাজার ৮৬২টি শেয়ার মোট ৪১৭ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৯ কোটি ৭৫ লাখ ১৯ হাজার টাকা। আর দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৩৬ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ টাকায় ওঠানামা করে। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ১৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৩৬ টাকায় ওঠানামা করে।
তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে অ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালস লিমিটেড। ‘বি’ ক্যাটেগরির এ কোম্পানিটির শেয়ারদর বেড়েছে ২৯ দশমিক ২৯ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন সাত কোটি ৬৯ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৭৯ লাখ ৯৪ হাজার টাকার শেয়ার।
এর পরের অবস্থানে ছিল যথাক্রমে সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। ওষুধ ও রসায়ন খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানি সিলকো ফার্মার শেয়ারদর বেড়েছে ২৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন ১০ কোটি ২৭ লাখ ৭৮ হাজার ২৫০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ১১ লাখ ১৩ হাজার টাকার শেয়ার।
আর ফাস ফাইন্যান্সের শেয়ারদর বেড়েছে ২৫ শতাংশ। আলোচ্য সপ্তাহে কোম্পানিটির প্রতিদিন এক কোটি ৭৭ লাখ ১৬ হাজার ২৫০ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর পুরো সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে সাত কোটি আট লাখ ৬৫ হাজার টাকার শেয়ার।