দিন দিন বাড়ছে তাপমাত্রা। প্রচণ্ড রোদ ও ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে ঠাকুরগাঁওয়ের জনজীবন। গরমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অব্যাহত লোডশেডিং। সব মিলে জনজীবন যেন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই তালপাকা ভাদ্রের তপ্ত রোদে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে পিপাসার্ত মানুষের ভরসা হয়ে উঠেছে দেলোয়ার হোসেনের আখের রস। তিনি জেলার গোয়ালপাড়ার বাসিন্দা।
প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে আখের রস বিক্রি করেন দেলোয়ার। মেশিন চালু করতে না করতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে তার আখের রস। প্রতি গ্লাস বিক্রি হচ্ছে ১০ টাকায়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ পথচারীদের তাই ভিড় লেগে থাকে তার দোকানে।
কথা হয় ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র রিয়াদ হোসেনের সঙ্গে। সে জানায়, প্রাইভেট পড়তে এসেছি। প্রচণ্ড গরম, তাই প্রাইভেট পড়া শেষে বন্ধুদের সঙ্গে মামার আখের রস খাচ্ছি। অনেক মজার। অল্পতেই পিপাসা মেটে।
দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘রিকশা চালাতাম; কিন্তু তা দিয়ে সংসার চালানো বেশ কঠিন ছিল। পরে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে শুরু করি আখের রসের ব্যবসা। চার বছর ধরে এ ব্যবসা চালিয়ে আসছি। দিনপ্রতি হাজার টাকার মতো বিক্রি হয়। খরচ বাদে যে টাকা থাকে, তা দিয়ে ভালোই চলে সংসার।’
দুই সন্তানের বাবা দেলোয়ার। বড় ছেলে লোকমান হোসেন ডিগ্রি কলেজে পড়াশোনা করে। ছোট ছেলে আরমান হোসেন আরকেস্টেট স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। তাদের শিক্ষিত করে তোলাই প্রধান লক্ষ্য বলে জানান দেলোয়ার।
দোকানে আসা গোয়ালপাড়া নিবাসী আল মাহমুদুল হাসান বাপ্পি বলেন, এই আখের রস খেয়ে কিছুটা হলেও পিপাসা নিবারণ করা যায়।
মো. নাহিদ রেজা