নিজস্ব প্রতিবেদক: পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) মাধ্যমে চট্টগ্রামে রেলওয়ের জায়গার ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট
বহুমুখী বিষেশায়িত হাসপাতাল। এ উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর রেলভবনের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ রেলওয়ের সঙ্গে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজের এক চুক্তি সই হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত চিফ ইঞ্জিনিয়ার (ব্রিজ) ও প্রকল্প পরিচালক আহসান জাবির ও ইউনাইটেড গ্রপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মইনুদ্দিন হাসান রশিদ চুক্তিতে সই করেন।
অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, দেশকে এগিয়ে নেওয়া সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ের এগিয়ে আসতে হবে। দেশের মেধাকে কাজে লাগাতে হবে। যারা বিদেশে আছেন দেশকে গড়ে তোলার জন্য তারাও উদ্যোগ নিতে পারেন। সম্মিলিত উদ্যোগেই আমরা দেশকে উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাব।
রেলমন্ত্রী বলেন, ইতিহাসে দেখা যায় অতীতে দেশ গড়ার কাজে না লেগে বরং অবৈধ ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেছেন অনেকেই। রেলওয়ে এক সময় সাবলম্বী ছিল। নিজস্ব বাহিনী, হাসপাতাল, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রসহ আরও অনেক কিছু ছিল। কিন্তু ব্যক্তিস্বার্থ ও ভুল নীতির কারণে রেলকে ধ্বংসের দারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রেলকে গুরুত্ব দিয়েছে। ফলে রেল আজ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রেলওয়েতে অনেক প্রকল্প চলমান। আগামীতে রেল তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে বলে মন্ত্রী জানান।
চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল ও ১০০ আসনবিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান। মোট ছয় একর জায়গার ওপর এটি প্রতিষ্ঠিত হবে। এখান থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে ও রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ২০ শতাংশ কমমূল্যে সেবা প্রদান করবে। ৫০ বছর পরে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রেলওয়ের কাছে হাসপাতালটি হস্তান্তর করবে। এ হাসপাতাল নির্মাণের সম্ভাব্য ব্যয় ৩৯৮ দশমিক ৯৮ কোটি টাকা।
অনুষ্ঠানে পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী আল কামাল সিদ্দিকী, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামছুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।