পিসিওএস প্রতিরোধে কী খাবেন, কী খাবেন না

পিসিওএস মূলত লাইফস্টাইল তথা জীবনযাপন-সংক্রান্ত রোগ। অর্থাৎ কিশোরীকালে ওজন বৃদ্ধি, মন্দ খাদ্যাভ্যাস, কায়িক শ্রমহীনতা এর জন্য দায়ী। তাই পিসিওএসের চিকিৎসায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হলো ব্যালান্স ডায়েট। তাহলে দেখে নেয়া যাক পিসিওএস প্রতিরোধে কী খাওয়া উচিত ও কী নয়।

যেসব খাবার খাবেন: বেশি করে সবুজ শাকসবজি খান। ভিটামিনসমৃদ্ধ এসব খাবারে ক্যালরি কম, তাই ওজন হ্রাস ও পুষ্টির জন্য আদর্শ। সবুজ শাকসবজি, যেমন পুঁই, পালং প্রভৃতি ভিটামিন বি’র দুর্দান্ত উৎস। লিন প্রোটিন হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করতে ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। লিন প্রোটিন হিসেবে মুরগি, টার্কি, টফু, স্যামন, চিংড়ি, টুনা, বিনস, প্রভৃতি খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন। সব চর্বি (ফ্যাট) কিন্তু শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয়। এমন অনেক ‘স্বাস্থ্যকর চর্বি’ (হেলদি ফ্যাট) আছে, যেগুলো ডায়েটে রাখা যায়। যেমন অ্যাভোকাডো। হেলদি ফ্যাট এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস। বাদাম ও বীজ স্বাস্থ্যকর চর্বি ও প্রোটিনের খুব ভালো উৎস।

ফাইবারসমৃদ্ধ খাদ্য: পিসিওএস হলে ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। ওটস, ব্রাউন রাইস, ব্ল্যাক বিনস, মসুর ডাল, সানফ্লাওয়ার সিড, ফ্ল্যাক্স সিড, চিয়া সিড প্রভৃতি ফাইবারের দুর্দান্ত উৎস। ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার শরীরের ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

যেসব খাবার এড়িয়ে চলবেন: চিনি ও উচ্চ শর্করাজাতীয় খাদ্য পিসিওএস রোগীদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। তাদের শরীরে ইনসুলিন ও গ্লাইসেমিক লেভেল বেশি থাকে। তাই উচ্চ শর্করাজাতীয় খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে। চিনি, মিষ্টি, জুস, ক্যান্ডি, প্রভৃতি এড়িয়ে চলুন।

জাঙ্ক ফুড ও ভাজা খাবার এ ধরনের খাবারে উচ্চ মাত্রায় লবণ, অস্বাস্থ্যকর মসলা, ট্রান্স ফ্যাট, কৃত্রিম মিষ্টি প্রভৃতি যুক্ত থাকে, যা খারাপ কোলেস্টেরল বাড়াতে পারে ও রক্তচাপকে প্রভাবিত করে। এসব খাবার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বাড়ায় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।

ইসরাত জাহান

পুষ্টিবিদ, সাজেদা ফাউন্ডেশন

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০