নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্থ আত্মসাৎ করে পালিয়ে থাকা অবস্থায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রশ্নে হাইকোর্টে দেয়া রুলের শুনানি হবে আজ। ভারতে তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমে এসেছে বলে জানিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ গতকাল সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চে রুল শুনানির আবেদন করলে আদালত এই দিন ঠিক করে দেন।
আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক সাংবাদিকদের বলেন, পি কে হালদারকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হয়েছে। পরে এ বিষয়ে আদালত বলেছেন, অর্থপাচারকারী দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আদালত আরও বলেন, যে যতবড় রাঘব বোয়াল হোক না কেন, ছাড় দেয়া হবে না। একইসঙ্গে এ ঘটনায় (গ্রেপ্তার) সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আদালত।”
আদালতের বরাতে রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী বলেন, পি কে হালদারকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, ‘আমাদের মেসেজ ক্লিয়ার, দুর্নীতি ও অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের নীতি জিরো টলারেন্স। কোনো ধরনের দুর্নীতি ও অর্থপাচারকারীকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। দুর্নীতিবাজ ও অর্থপাচারকারীদের ব্যাপারে আমরা খুবই সিরিয়াস।’ দুদকের পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে কিংবা তাকে গ্রেপ্তারের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে স্বতঃপ্রণোদিত রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। দুদক চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক চলতি বছর জানুয়ারিতে জানিয়েছিলেন, পি কে হালদার যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন, সেজন্য ২০১৯ সালের ২২ অক্টোবর পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি দেয় দুদক। ডাকযোগে পাঠানো সেই চিঠি এসবি পায় ২৩ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৪টায়। পরে এসবি সে চিঠি দেশের সব স্থলবন্দর ও বিমানবন্দরে দায়িত্বপালনকারী ইমিগ্রেশন ইউনিটকে পাঠায়।