পি কে হালদার আরও ১০ দিনের রিমান্ডে

??? ?????? ???? ?? ????? ?? ?? ??????

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ‘হাজার কোটি টাকা পাচার করে’ পালিয়ে পশ্চিমবঙ্গে আটক পি কে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও ১০ দিনের জন্য হেফাজতে পেয়েছেন ভারতের তদন্তকারীরা। ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) বাংলাদেশের এই ফেরারি আসামিকে গত শনিবার গ্রেপ্তারের পর তিন দিনের জন্য রিমান্ডে নিয়েছিল। গতকাল তাকে আরও ১০ দিনের জন্য রিমান্ডে চেয়ে আদালতে আবেদন করেন ইডির কর্মকর্তারা। খবর: বিবিসি।

তাকে আরও ১০ দিন রিমান্ডের আদেশ হয়েছে। পি কে হালদারের সঙ্গে গ্রেপ্তার আরও চারজনকেও ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। আর গ্রেপ্তার একমাত্র নারীকে পাঠানো হয়েছে বিচারিক হেফাজতে।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অরিজিৎ চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, তাদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলা করা হয়েছে। সেই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড দেয়া হয়েছে। যে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, গতকাল তাদের পরিচয় প্রকাশ করেছে ইডি। তাতে পি কে হালদার বা প্রশান্ত হালদার ভারতে শিব শঙ্কর হালদার নাম নিয়ে ছিলেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার অন্যদের নাম বলা হয়েছেÑস্বপন মৈত্র ওরফে স্বপন মিস্ত্রি, উত্তম মৈত্র ওরফে উত্তম মিস্ত্রি, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার, প্রাণেশ কুমার হালদার ও আমেনা সুলতানা ওরফে শর্মি হালদার। গ্রেপ্তারের পর ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম পি কে হালদারের স্ত্রী, ভাই ও সহযোগীদের আটক হওয়ার খবর দিয়েছিল।

পি কে হালদারের ভাই প্রাণেশ হালদার আগে থেকে ভারতে থাকতেন। আর বাংলাদেশের দুদকের তদন্তকারীদের তথ্য অনুযায়ী, পি কে হালদারের স্ত্রীর নাম সুস্মিতা সাহা। কিন্তু গ্রেপ্তারের তালিকায় সুস্মিতা সাহা নামটি নেই। আবার শর্মি হালদার বা আমেনা সুলতানা নামে যিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন, তার পরিচয়ও স্পষ্ট নয়।

ইডির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেপ্তার অন্যদের পি কে হালদারের সহযোগী বলা হয়েছে। এর বেশি বিস্তারিত বলা হয়নি। অর্থ পাচার ছাড়াও পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ভুয়া নামে ভারতের পাসপোর্ট, আধার কার্ড ও রেশন কার্ড তৈরির অভিযোগেও মামলা হতে পারে।

বাংলাদেশ পি কে হালদারকে চাইলেও এসব মামলার কারণে তাতে দেরি হতে পারে বলে এক দিন আগে আভাস দিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ২০২০ সালে দুদকের তদন্ত শুরুর পর পি কে হালদারের পালিয়ে যাওয়ার খবর মেলে। তখন শোনা গিয়েছিল, তিনি কানাডায় চলে গেছেন। কিন্তু গত শুক্রবার হঠাৎ খবর আসে পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের

অবৈধ সম্পদের খোঁজে পশ্চিমবঙ্গে অভিযানে নেমেছে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা ইডি। পরদিন আসে গ্রেপ্তারের খবর।

এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে নানা আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলে হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে এরই মধ্যে ৩৪টি মামলা করা হয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০