শেয়ার বিজ ডেস্ক: রংপুরের পীরগঞ্জে প্রভাবশালী বালুখেকোরা কয়েকটি সমিতি করে করতোয়া নদী থেকে অবৈধভাবে প্রতিদিন শতশত ট্রাক বালি উত্তোলন করছেন। বালি ভর্তি যানবাহনের কারণে উপজেলার বেশকিছু এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ভেঙে যাচ্ছে আবাদি জমিও। অদক্ষ চালকদের কারণে বালিভর্তি মাহেন্দ্র-ট্রলিচাপায় শিক্ষার্থী ও বালি শ্রমিকসহ প্রায় ৩০ জন নিহতের খবর রয়েছে। অপরদিকে, প্রশাসনের নির্দেশও মানছে না অবৈধ বালিদস্যুরা। খবর পরিবর্তন ডটকম।
জানা গেছে, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করতোয়া নদীটি পীরগঞ্জের টুকুরিয়া, বড়আলমপুর, চতরা ও কাবিলপুর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে। বালিখেকোরা বেশ কয়েকটি সমিতি করে ওইসব ইউনিয়নের অর্ধশতাধিক স্থানে স্যালোমেশিন ও বোমা মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করছে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শতশত মাহেন্দ্র, ট্রলি ও ট্রাকযোগে পীরগঞ্জসহ আশেপাশের উপজেলায় যাচ্ছে বালি। এতে করতোয়ার দু’পাড়ের পার্শ্ববর্তী আবাদি জমি ভেঙে যাচ্ছে। জমির মালিকরা প্রতিবাদ করলেও বালিখেকোরা কথা শুনছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি বালিভর্তি যানগুলোর চাপা ও দুর্ঘটনায় অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বড়আলমপুর ইউনিয়নের ধর্মদাশপুর ও শিমুলবাড়ী গ্রামের ৪৩ জন সমিতি করে গ্রাম্য ডা. ইছাহাক আলীর নেতৃত্বে ধর্মদাশপুরের এজাজুলকে সভাপতি করে ২৬ সদস্য বিশিষ্ট সমিতি, ষোলঘরিয়া গ্রামের লুলু পাইকাড় ও শামীম মিয়ার নেতৃত্বে ২০ সদস্যের একটি সমিতি শালপাড়া ও জয়ন্তিপুর ঘাটসহ ১৫টির অধিক স্থানে করতোয়া নদী থেকে স্যালোমেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করছে।
এছাড়াও টুকুরিয়া ইউনিয়নের দুধিয়াবাড়ীতে আখতারুল ইসলাম, জয়ন্তিপুর চর থেকে মদনখালী গ্রামের সুলতান মিয়া এবং মফিদুল ইসলাম, রামকানাইপুরে রহেদুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন বালি উত্তোলন করছে। বালি উত্তোলনকারী আখতারুল ইসলাম জানান, তিনি দিনাজপুর এলাকার বালি আনছেন। আর চলাচলের রাস্তা যেন নষ্ট না হয়, তাও মেরামত করছেন। কারো জমিও ভাঙছে না।
ইউএনও কমল কুমার ঘোষ জানান, বালি উত্তোলন বন্ধে অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে।