নিজস্ব প্রতিবেদক: রংপুরের পীরগঞ্জের জেলেপাড়ায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে হামলার ঘটনা পরিকল্পিত। ফেসবুকে পোস্ট ও মসজিদের মাইকে ঘোষণার মাধ্যমে উত্তেজনা ছড়িয়ে লোক জড়ো করে এ হামলা করা হয়। আলোচনায় আসার উদ্দেশ্যে এই হামলায় নেতৃত্ব দেন সৈকত মণ্ডল নামের একজন।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
আল মঈন জানান, শুক্রবার রাতে টঙ্গী থেকে অগ্নিসংযোগের ঘটনার অন্যতম হোতা সৈকত মণ্ডল ও সহযোগী রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১৩ এর একটি দল তাদের গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানান, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অরাজকতা তৈরির ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের লক্ষ্যে হামলা-অগ্নিসংযোগ ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচার ও মাইকিং করে হামলাকারীদের জড়ো করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সৈকত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক, বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে স্থানীয় জনসাধারণকে উত্তেজিত করে তোলে।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তারকৃত রবিউল রংপুরের পীরগঞ্জের হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অন্যতম উসকানিদাতা। সে উক্ত হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার আগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মাইকিং করে বিভিন্ন উসকানিমূলক তথ্য ছড়িয়ে গ্রামবাসীকে উত্তেজিত করে তোলে এবং ওই হামলায় অংশগ্রহণের জন্য জড়ো হতে বলে। এরপর সে মাইকিংয়ের দায়িত্ব তার আস্থাভাজনকে দিয়ে নিজে সশরীরে অংশগ্রহণ ও নির্দেশনা দেয়।
গত ১৭ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় অবমাননাকর পোস্টকে কেন্দ্র করে রংপুরে পীরগঞ্জের বড় করিমপুর গ্রামে দুর্বৃত্তরা বেশ কয়েকটি বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগে রংপুরের পীরগঞ্জ থানায় তিনটি মামলা হয়।