ঝিনাইদহের সাগান্না ইউনিয়নের বাদপুকুর গ্রামের আবদুল বারেক মিয়ার ছেলে কৃষক আমির হোসেন পুঁইশাকের ফল মেচড়ি চাষ করে সফল হয়েছেন। করছেন বাড়তি আয়। এ বছর পুঁইশাক ও তার কাঁচা-পাকা ফল বিক্রি করে তিনি দেড় লাখ টাকা হাতে পেয়েছেন এবং কমপক্ষে আরও এক লাখ টাকার শাক ও ফল বিক্রি করতে পারবেন বলে আাশা করছেন।
আমির হোসেন জানান, ১০ শতক জমি চাষ করতে পুঁইশাকের বীজ এনেছিলেন দুই বছর আগে। ওই জমি আবাদ করে লাভের মুখ দেখেছেন তিনি। পরের বছর ৪০ শতক জমি আবাদ করেন। খরচ বাদে তার লাভ হয় প্রায় তিনগুণ। সেই থেকে আর পেছনে ফিরে দেখতে হয়নি তাকে।
এবার তিনি ৯০ শতক জমিতে আবাদ করেছেন। এখানে সার, কীটনাশক, দিনমজুর, খুঁটি প্রভৃতির জন্য খরচ হয়েছে এক লাখ টাকা। আর ইতোমধ্যে তিনি দেড় লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছেন।
সদর উপজেলার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খান মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান পুঁইশাকের মেচড়ি ক্ষেত পরিদর্শন করে জানান, একই জায়গায় ৯০ শতক জমিতে মেঁচড়ি আবাদ করা কৃষক খুব কমই মেলে। পরিশ্রম, নিবিড় পরিচর্যা ও রোগবালাইয়ের বিষয়ে সচেতনতা থাকলে তার মতো সফল হওয়া যায়। আর যেকোনো ধরনের সমস্যা সমাধানে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ তো আছেই।
দেলোয়ার কবীর, ঝিনাইদহ