নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমানে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল রয়েছে। এর ধারাবাহিকতা রক্ষায় বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সমন্বিত সহযোগিতা প্রয়োজন। এ বিষয়ে সমন্বয় সাধন নিশ্চিতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মো. ইউনুসুর রহমান সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকে গিয়ে ইউনুসুর রহমান বৈঠকটি করেন। বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক জানান, পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য বন্ড মার্কেট চালু করতে হবে। বিশেষ করে সরকারি ট্রেজারি বিল লেনদেনের প্রক্রিয়াটি আমরা এগিয়ে নিয়ে এসেছি। খুব শিগগিরই এটি চালু হবে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করলাম। এছাড়া বর্তমানে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল রয়েছে। এর ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবার সমন্বিত সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
গতকালের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান, ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক, স্বতন্ত্র পরিচালক সালমা নাসরিন, এনডিসি ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. শাকিল রিজভী।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, গতকালের বৈঠকে বন্ড মার্কেট উন্নয়ন ও পুঁজিবাজারে ব্যাংকের তারল্য প্রবাহ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হয়। দেশের মুদ্রাবাজার ও পুঁজিবাজারের উন্নয়নে উভয়পক্ষের সমন্বয় রেখে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
কাজী ছানাউল হক বলেন, খুব শিগগিরই ট্রেজারি বন্ডকে পুঁজিবাজারে লেনদেনযোগ্য করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনেক বছর আগে থেকে ট্রেজারি বন্ড স্টক মার্কেটে তালিকাভুক্ত থাকলেও এগুলোর কোনো লেনদেন হচ্ছে না। বন্ডগুলোকে লেনদেনযোগ্য করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটির বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএসইসি, ডিএসই ও এনবিআরের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন। একটি চুক্তিও করতে হবে। এ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
আমরা আশা করছি, আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে ট্রেজারি বিল লেনদেন শুরু হবে। এ জন্য স্টক এক্সচেঞ্জে আলাদা প্ল্যাটফরম তৈরি করা হয়েছে। সেই প্ল্যাটফরমকে কার্যকর করতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু সহায়তা প্রয়োজন। এছাড়া ডিএসইতে অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট বোর্ড চালুর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে এই বোর্ডও চালু হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বৈঠকে পুঁজিবাজারে প্রণোদনার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়েও আন্তরিক বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিষয়টি চূড়ান্ত করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি লাগবে। এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেবেন বলে তারা জানান।