নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজার চাঙা করতে শিগগিরই লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত আরও পাঁচ প্রতিষ্ঠান বাজারে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। একই সঙ্গে বর্তমানে বাজারে থাকা আরও দুটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ১০ শতাংশ করে শেয়ার অফলোড করবে বলে জানিয়েছেন তিনি। অন্য আরও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রী।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে গতকাল ‘রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন লাভজনক কোম্পানিগুলোর শেয়ার পুঁজিবাজারে অফলোড’ করার বিষয়ে আলোচনা শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বাজার চাঙা করতে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল) ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ আরও ১০ শতাংশ শেয়ার বাজারে অফলোড করবে। এছাড়া লাভজনক প্রতিষ্ঠান নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি, ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (ইজিসিবি), আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড, বি-আর পাওয়ার জেন লি. (বিআরপিএল) ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) বাজারে আসছে।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোম্পানিগুলো টেকসই করতে হবে। প্রথমে প্রত্যেকটা কোম্পানির ব্যালেন্স শিট আমাদের অ্যাসেস করতে হবে। এখন থেকে ১০ বছর আগের অ্যাসেটের দাম, আর এখনকার দাম এক নয়। এখন কারেন্ট প্রাইসে এগুলো আমাদের রিভ্যালু করতে হবে। আমাদের সম্পদের পরিমাণ রিভ্যালু করতে হবে। রিভ্যালু করতে যে সময় লাগবে, সেই সময় কোম্পানিগুলোকে দিতে হবে। আমার মনে হয়, সম্পদের পরিমাণ রিভ্যালু করতে দু’মাস সময় লাগবে।’
‘আমরা দু’মাস সময়ের মধ্যে সাতটি কোম্পানির সম্পদের পরিমাণ অ্যাসেস করতে পারব’ বলে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘যেটা নেট অ্যাসেট দাঁড়াবে, সেটার ভিত্তিতেই শেয়ারগুলো ভ্যালুয়েশন হবে। এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১০ শতাংশ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ধীরে ধীরে প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে এগুলোকে বাজারে নিয়ে আসব।’
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘সাতটি কোম্পানি প্রাইভেট সেক্টর থেকে কাজ করতে পারে। আইসিবি (ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ) থেকেও তারা কাজ করতে পারে। আমরা তাড়াতাড়ি সাতটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে নিয়ে আসতে চাই। এজন্য একটি নয়, আমরা সাতটি ফার্মকে দিয়ে সম্পদের মূল্যায়ন করব, যাতে কাজটি তাড়াতাড়ি করা যায়।’
