হাসানুজ্জামান পিয়াস: পুঁজিবাজারে ক্রমেই খাতভিত্তিক লেনদেন বাড়তে দেখা যাচ্ছে। আগে মোট লেনদেনে দুই থেকে তিনটি খাতের এককভাবে ১০ শতাংশের বেশি অবদান দেখা গেলেও সম্প্রতি তা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট খাত ছেড়ে বিভিন্ন খাতের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করছেন। মূলত সে কারণে বাড়ছে খাতভিত্তিক লেনদেন। গতকালের বাজারচিত্রেও তেমনটি দেখা গেছে।
গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মোট লেনদেনে এককভাবে ১০ শতাংশের বেশি অবদান রেখেছে চারটি খাত। এর মধ্যে শীর্ষে ছিল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এটি মোট লেনদেনে ১৪ শতাংশের বেশি অবদান রাখে। লেনদেনে এর পরের অবস্থানে ছিল বস্ত্র খাত। খাতটি মোট লেনদেনে ১৪ শতাংশের বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হয়। একইভাবে ১৩ শতাংশ অবদান রেখে লেনদেন তৃতীয় অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। এছাড়া গতকালের মোট লেনদেনে বিবিধ খাত ১১ শতাংশের বেশি অবদান রাখতে সক্ষম হয়।
এদিকে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক শূন্য দশমিক ৩০ পয়েন্ট কমে স্থির হয় ৬ হাজার ৩২৪ পয়েন্টে। একইভাবে কমে যায় লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১৯৮টির দর কমে, ১২৯টির দর বাড়ে এবং ৫৫টির দর অপরিবর্তিত থাকে।
অন্যদিকে গতকাল ডিএসইর লেনদেন আগের চেয়ে কমে যেতে দেখা যায়। দিনশেষে এখানে মোট ৫৮১ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট কেনাবেচা হয়। এর মধ্যে ব্লক মার্কেটের লেনদেন ছিল ১৮ কোটি টাকার বেশি। গতকাল এ মার্কেটে মোট ২৪টি কোম্পানি অংশ নেয়। গতকাল ডিএসইর বাজার মূলধন ১৪১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ১৫ হাজার ৯৬০ কোটি টাকায়।
