শেয়ার বিজ ডেস্ক: পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করহার কমানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বর্তমানে কোম্পানিগুলোর এই করহার ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ রয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও শর্তসাপেক্ষে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করহার ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সব ধরনের প্রাপ্তি ও আয় অবশ্যই ব্যাংক স্থানান্তরের মাধ্যমে গৃহীত হতে হবে এবং ১২ লাখ টাকার অতিরিক্ত ব্যয় ও বিনিয়োগ অবশ্যই ব্যাংক স্থানান্তরের মাধ্যমে সম্পাদন করতে হবে। গত বাজেটেও করপোরেট করহার আড়াই শতাংশ কমানো হয়েছিল।
পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের অধিক শেয়ারের মাধ্যমে হস্তান্তর হলে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য করহার ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন। অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, অর্থনীতির অধিকতর আনুষ্ঠানিকীকরণ এবং এক ব্যক্তি কোম্পানির প্রতিষ্ঠা উৎসাহিত করার লক্ষ্যে এক ব্যক্তি কোম্পানির করহার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ শর্তে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
প্রস্তাব অনুসারে, তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানি তার পরিশোধিত মূলধনের কমপক্ষে ১০ শতাংশ পুঁজিবাজার থেকে সংগ্রহ করেছে, সেসব কোম্পানিকে ২০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। বর্তমানে এই করের হার ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ। কোনো কোম্পানি ন্যূনতম ১০ শতাংশ শেয়ার ইস্যুর শর্ত পরিপালনে ব্যর্থ হলে ওই কোম্পানিকে বর্তমান হারেই অর্থাৎ ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
অন্যদিকে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানি তাদের মোট ইস্যুকৃত শেয়ারের ১০ শতাংশের কম প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বাজারে ছেড়েছে, সেসব কোম্পানিকে আগামী অর্থবছরেও ২২ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে। আর শর্ত পরিপালনে ব্যর্থ হলে কর দিতে হবে ২৫ শতাংশ হারে।
তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার হ্রাস পেলে কোম্পানিগুলোর নিট মুনাফা বাড়বে। তাতে ভালো কোম্পানিগুলো বাজারে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহী হবে। অন্যদিকে কর কমার কারণে নিট মুনাফা বাড়বে বলে কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ ঘোষণার সক্ষমতাও বাড়বে। তাতে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরাও লাভবান হবেন।