Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 6:51 pm

‘পুঁজিবাজার থেকে আইডিএলসির মুনাফা বাড়ছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিচার-বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগ করার কারণে পুঁজিবাজার থেকে আর্থিক খাতের কোম্পানি আইডিএলসি ফাইন্যান্সের মুনাফা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ খান। তিনি বলেন, ২০১০ সাল-পরবর্তী পাঁচ বছর টানা ধসেও পুঁজিবাজার থেকে প্রতিবছর আইডিএলসি মুনাফা অর্জন করছে।

গতকাল রাজধানীর পল্টনে কোম্পানির প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ’১৭) আর্থিক হিসাব প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আরিফ খান বলেন, ‘ধসের পাঁচ বছর শেয়ারবাজার টানা নি¤œমুখী থাকলেও আইডিএলসি ফাইন্যান্স ১৫ শতাংশের বেশি হারে ক্যাপিটাল গেইন করেছে। বিনিয়োগের আগে কোম্পানি সম্পর্কে বিচার-বিশ্লেষণ এর অন্যতম কারণ। এক্ষেত্রে কোম্পানির অডিট রিপোর্ট, প্রান্তিক রিপোর্ট, ম্যানেজমেন্ট, করপোরেট গভর্ন্যান্স ইত্যাদি বিশ্লেষণ করা হয়। এর জন্য আইডিএলসির বিশেষ অ্যানালাইসিস টিম রয়েছে। যারা বিনিয়োগের জন্য অনেক বিশ্লেষণ করে।’

এই কোম্পানি প্রথম প্রান্তিকে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা করেছে ৬০ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬৭ শতাংশ বেশি। এ সময় শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে এক দশমিক ৮০ টাকা, যা গত বছর একই সময়ে ছিল এক দশমিক ১১ টাকা।

চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে আইডিএলসিতে তিন হাজার ১৬৯ জন নতুন গ্রাহক বেড়েছে। সেই সঙ্গে কাস্টমার লোন পোর্টফোলিও ৫৩৯ কোটি টাকা বা নয় শতাংশ বেড়ে ছয় হাজার ৭৬৫ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। এসএমই লোনের বৃদ্ধি যার মূল কারণ। বর্তমানে আইডিএলসির এসএমই ঋণের পরিমাণ রয়েছে দুই হাজার ৮৮০ কোটি টাকা, যা প্রতিষ্ঠানের মোট লোনের ৪৪ শতাংশ। এই কোয়ার্টারে প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য ব্যবসায়িক খাতÑকরপোরেট ও কনজ্যুমার ফাইন্যান্স এবং দুটি প্রধান সাবসিডিয়ারি আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও আইডিএলসি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের পারফরম্যান্সও ছিল উল্লেখযোগ্য।

আরিফ খান বলেছেন, প্রথম প্রান্তিকে নন-পারফরমিং লোনের অনুপাত কমে দুই দশমিক ৭৯ শতাংশ এসেছে; যা ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল দুই দশমিক ৯৮ শতাংশ।

এ সময় তিনি আরও জানান, বিগত বছরের তুলনায় প্রতিষ্ঠানের পরিচালন আয় ৩০ শতাংশ বেড়ে ১৬৪ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। যার ফলে আয়-ব্যয়ের অনুপাত ৩৫ শতাংশে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হয়েছে। পরিচালন আয়ের বৃদ্ধির মূল কারণ ছিল উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ আয় এবং ফি বাবদ আয়ের বৃদ্ধি। ২০১৭ সালের প্রথম প্রান্তিকে আইডিএলসির প্রধান উন্নয়ন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে চারটি নতুন শাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি লাভ এবং আইডিএলসি ব্যালান্স ফান্ডের অনুকূলে বিএসইসি কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট প্রদান। আইডিএলসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের মাধ্যমে এই নতুন ওপেন-অ্যান্ড মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালিত হবে। এছাড়া আইডিএলসি তার কর্মী বাহিনীর উন্নয়নে ব্যাপক গুরুত্বারোপ করেছে। এই প্রান্তিকে কর্মকর্তাদের জন্য ২ হাজার ৬১৮ কর্মঘণ্টা প্রশিক্ষণ প্রদান এবং একটি নতুন ও উন্নততর পারফরম্যান্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু হয়েছে।

আরিফ খান বলেন, আমরা সাফল্যের সঙ্গে এ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক শেষ করেছি। তবে আমাদের সব বিনিয়োগকারী, গ্রাহক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সর্বোপরি বৃহত্তর সমাজের উন্নতি সাধনে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।