নিজস্ব প্রতিবেদক:ব্যবসা সম্প্রসারণে পুঁজিবাজার থেকে পাঁচ কোটি টাকা উত্তোলন করবে এগ্রো অরগানিকা পিএলসি। ২০১১ সালের ২১ আগস্ট অরগানিকা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের অধীনে এ সি-৯৫০২২ নিবন্ধন নম্বরের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়। কোম্পানিটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করে ২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর। শেরপুরের নৌহাটা বিসিক শিল্প এলাকায় কোম্পানির কারখানা এবং করপোরেট অফিস রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডে।
এগ্রো অরগানিকার প্রধান কার্যক্রম হলো কৃষিভিত্তিক পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ। এছাড়া সুগন্ধি চাল, সিদ্ধ চাল, আধা সিদ্ধ চাল, আতপ চাল এবং বিভিন্ন মশলা উৎপাদন ও বিপণন করে।
এগ্রো অরগানিকার করপোরেট গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে ইবনে সিনা, বেক্সিমকো ফার্মা, জেনারেল ফার্মা, একমি ল্যাবরেটরিজ, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, মেরিডিয়ান হোটেল, আগোরা, স্বপ্ন, মীনাবাজার প্রভৃতি।
বর্তমানে কোম্পানিটির উৎপাদনক্ষমতা পাঁচ হাজার ৩৪৭ মেট্রিক টন হলেও প্রকৃত উৎপাদন তিন হাজার ৭৭৭ টন। ২০২২ সালের ৩১ মার্চের নিরীক্ষিত হিসাবমতে, প্রতিষ্ঠানটির মোট বিক্রি ৩৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আর শেয়ারপ্রতি আয় এক টাকা ১২ পয়সা, শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য ১৪ টাকা ৬৮ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো ৫১ পয়সা।
অরগানিকার প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) শরিফুল ইসলাম বলেন, ব্যবসা সম্প্রসারণে আমরা পুঁজিবাজার থেকে পাঁচ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য চেষ্টা করছি। কারখানা ভবন ও সম্প্রসারণ ইউনিট নির্মাণে ব্যয় হবে ৮৪ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা, যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৯১ লাখ ৭৮ হাজার ৫০০ টাকা, ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল বাবদ তিন কোটি টাকা এবং কিউআইও খরচ বাবদ প্রায় ২৪ লাখ ৯ হাজার টাকা খরচ হবে। বিএসইসি তারিখ নির্ধারণ করলে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করা যাবে।
উল্লেখ্য, গত ৩১ মে বিএসইসির ৮৭০তম সভায় এগ্রো অরগানিকা পিএলসিকে কিউআইয়ের মাধ্যমে পাঁচ কোটি টাকার উত্তোলনের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। আর কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনায় রয়েছে শাহজালাল ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
