পুঁজিবাজার থেকে মুনাফা তুলছেন বিনিয়োগকারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা কয়েক দিন বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকার কারণে সম্প্রতি বিনিয়োগ করা বেশিরভাগ শেয়ারে লাভে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এ কারণে গতকাল তাদের মুনাফা তুলতে দেখা গেছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে ছিল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর কম থাকার কারণে অন্য খাতের শেয়ার ছেড়ে সম্প্রতি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারে ঝুঁকেছেন বিনিয়োগকারীরা, যে কারণে কিছুটা দাপট কমছে বিমা খাতের। করোনার শুরু থেকে বিমা এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ারের চাহিদা লক্ষ করা যায়। ফলে দর বাড়তে থাকে এসব শেয়ারের, যে কারণে তুলনামূলকভাবে বেড়েছে এ দুই খাতের শেয়ারদর। সেই তুলনায় কম দর রয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের। এজন্য সম্প্রতি এসব শেয়ারদর বাড়তে দেখা যায়।

গতকালের বাজার বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, লেনদেনের শুরু থেকেই এই দুই খাতের শেয়ারে বিক্রি চাপ বেশি, যে কারণে একসময় এসব শেয়ারদর কমতে থাকে। তবে দর কমলেও লেনদেনে বেশ এগিয়ে ছিল আর্থিক ও ব্যাংক খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে আর্থিক একক অবদান দেখতে পাওয়া যায় ১১ শতাংশ। অন্যদিকে গতকাল মোট লেনদেনে ব্যাংক খাতের অবদান লক্ষ করা যায় প্রায় ১০ শতাংশ।

অন্যদিকে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের মতো বিমা খাতের শেয়ারদরও কমতে দেখা গেছে। সকাল থেকে বিক্রির চাপ থাকায় দিন শেষে কমতে দেখা যায় খাতটির সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ারদর। মোট লেনদেনে এই খাতটির অবদান দেখা যায় প্রায় ১৩ শতাংশ। মোট লেনদেনে এ খাতের কম অংশগ্রহণের কারণ কম দর দেখে অনেকেই শেয়ার বিক্রি করেননি।

এদিকে গতকাল মোট লেনদেনে সবার শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনে এ খাতের অবদান দেখতে পাওয়া যায় ১৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। এছাড়া মোট লেনদেনে বিবিধ খাতের একক অবদান ১২ দশমিক ২৭ শতাংশ এবং প্রকৌশল খাতের অংশগ্রহণ ছিল ১০ দশমিক ৭৩ শতাংশ।

অন্যদিকে গতকালও ঊর্ধ্বমুখী ছিল পুঁজিবাজার। এ নিয়ে পুঁজিবাজার টানা পাঁচ কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকল। গতকাল দিন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক বাড়তে দেখা যায় ১৪ পয়েন্ট। সূচকের অবস্থান হয় পাঁচ হাজার ৩৫৮ পয়েন্টে। একইভাবে গতকাল লেনদেনও ছিল সন্তোষজনক। গতকাল দিন শেষে ডিএসইতে মোট এক হাজার ৩৮৩ কোটি টাকার শেয়ার এবং মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০