নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৪৩ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যে নুরানী ডায়িং অ্যান্ড সোয়েটার লিমিটেডকে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি। গতকাল বৃহস্পতিবার ৫৯৭তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা মূল্যে চার কোটি ৩০ লাখ শেয়ার ইস্যু করবে। কোম্পানিটি বাজার থেকে উত্তোলিত টাকা দিয়ে মেশিনারিজ ও ইক্যুপমেন্ট ক্রয়, ভবন নির্মাণ, ঋণ পরিশোধ ও আইপিও খাতে ব্যবহার করবে। এক্ষেত্রে আইপিওর টাকা সংগ্রহের ২১ মাসের মধ্যে এসব কাজ সম্পন্ন করা হবে।
শতভাগ রফতানিকারক নুরানী ডায়িং সর্বশেষ অর্থবছরে (এপ্রিল ২০১৫-মার্চ ২০১৬) ১০৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করেছে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি সব ব্যয় শেষে পাঁচ কোটি ৬৫ লাখ টাকা মুনাফা করেছে, যা শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হিসেবে হয়েছে ১.৪৮ টাকা। আর ৩১ মার্চ কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারে সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকায়। তবে ১৫ মাসের ব্যবসায় (এপ্রিল ২০১৫-জুন ২০১৬) ইপিএস হয়েছে ১.৭৯ টাকা। আর ২০১৬ সালের ৩০ জুন এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ১৪.৩৭ টাকায়। নুরানী ডায়িং ২০০৯ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে। প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪ সালে প্রাইভেট কোম্পানি থেকে পাবলিক কোম্পানিতে রূপান্তর হয়।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে রয়েছে ইমপেরিয়াল ক্যাপিটাল, ইবিএল ইনভেস্টমেন্ট ও সিএপিএম অ্যাডভাইজারি লিমিটেড।
কমিশন সভায় বে-মেয়াদি ইউএফএস-আইবিবিএল শরিয়াহ ইউনিট ফান্ডের খসড়া প্রসপেক্টাস অনুমোদন দেওয়া হয়। মিউচুয়াল ফান্ডটির প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা হয়েছে ২০০ কোটি টাকা। ফান্ডটির উদ্যোক্তার অংশ ২০ কোটি টাকা। সব বিনিয়োগকারীর জন্য বরাদ্দ রাখা রয়েছে ১৮০ কোটি টাকা, যা ইউনিট বিক্রির মাধ্যমে উত্তোলন করা হবে।
ফান্ডটির প্রতিটি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা। বে-মেয়াদি ফান্ডটি নিয়মিত বিনিয়োগ পরিকল্পনার আওতায় বিনিয়োগকারীদের কাছে ইউনিট বিক্রি করতে পারবে। ফান্ডটির উদ্যোক্তা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড। সম্পদ ব্যবস্থাপক হিসেবে রয়েছে ইউনিভার্সাল ফাইন্যান্সিয়াল সলিউশনস লিমিটেড। আর ট্রাস্টি ও কাস্টডিয়ান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)।
Add Comment