এম নুরুল আলম একজন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক এবং প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। এছাড়া তিনি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশের (আইসিএসবি) একজন ফেলো ও বর্তমান কাউন্সিল মেম্বার এবং দি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারনাল অডিটরস, বাংলাদেশের (আইআইএবি) সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। করপোরেটে প্রায় ৪০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নুরুল আলম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষে কর্মজীবন শুরু করেন। প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজের সিইও হিসেবে যোগদানের আগে প্রাইম ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও কোম্পানি সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেডের চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার এবং গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন বাংলাদেশের কোম্পানি সচিব হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের সোসাইটি অব করপোরেট কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড ইথিকস থেকে সার্টিফায়েড কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড ইথিকস প্রফেশনাল বিষয়ের ওপরও আন্তর্জাতিক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। একইসঙ্গে তিনি সিজিআইএ ইনস্টিটিউট থেকে চার্টার্ড গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট অ্যানালিস্ট (সিজিআইএ) সদস্যপদ অর্জন করেছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিসহ নানা বিষয় নিয়ে তিনি শেয়ার বিজ-এর সঙ্গে কথা বলেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হাসানুজ্জমান পিয়াস
শেয়ার বিজ: পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা নিয়ে কি আপনি সন্তুষ্ট?
এম. নুরুল আলম: এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া কঠিন। পুঁজিবাজারে অস্থিরতা সব সময় থাকে। এই বাজারের গতিবিধি পূর্বানুমান করা যায় না।
শেয়ার বিজ: মহামারি চলাকালে বাজারকে সমর্থন করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল, যার মধ্যে কিছু ব্যর্থ হয়েছে আবার কিছু আশাব্যঞ্জক ফলাফল দেখিয়েছে, যেমন মার্জিন ঋণ সংশোধন, ফ্লোর প্রাইস প্রবর্তন এবং অপসারণ, আট দশমিক পাঁচ বিলিয়ন টাকার তহবিল তৈরিসহ আরও অনেক কিছু।
আপনি কি অন্য কোনো ব্যবস্থা/সিদ্ধান্ত নিয়ে ভাবতে পারেন, যা নেয়া যেতে পারে? নাকি আপনি এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট?
এম. নুরুল আলম: করোনা মহামারির সময়ে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ব্যাপক রদবদল হয়েছে। নতুন কমিশন যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তার মধ্যে প্রায় সবগুলোই ভালো ছিল। বিশেষ করে এখনকার সময় বিবেচনায় ফ্লোর প্রাইস ভালো পদক্ষেপ ছিল। মার্জিন রেশিও পরিবর্তন মুদ্রা বাজারের অনেক সূচকের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
নতুন কমিশন ভালো করছে কিন্তু আমি মনে করি, পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি হচ্ছে বিএসইসি, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং রাজস্ব বোর্ডের সমন্বয়।
শেয়ার বিজ: সরকার বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা প্যাকেজ আকারে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। কিন্তু এই প্যাকেজ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যবসায়ীদের একটি অংশ পুঁজিবাজার থেকে সরিয়ে নিয়েছে বলে একটি প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছিল। এই বিষয়ে আপনার অবস্থান কী এই প্রশ্নের পেছনে কোনো বৈধতা আছে কি? ভবিষ্যতে এই বিষয়টি পর্যবেক্ষণে প্রতিষ্ঠানগুলো কি ভূমিকা পালন করতে পারে?
এম. নুরুল আলম: সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ! পুঁজিবাজারের চালিকাশক্তি হচ্ছে ব্রোকারেজ হাউস। ডিলার এবং ব্রোকারেজ হাউসগুলো কাজ করলে পুঁজিবাজার সচল থাকে। ২০১০ থেকে পুঁজিবাজারে ধসের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রোকারেজ হাউসগুলো। শতকোটি টাকা পর্যন্ত নেগেটিভ ইকুইটির বোঝা নিয়ে চলছে হাউসগুলো। কিন্তু প্রণোদনা প্যাকেজে ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে কোনো সুবিধা দেয়া হয়নি। এ বিষয়ে বিএসইসি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের আন্তরিকতার মাধ্যমে ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে প্যাকেজের আওতায় আনা যেত।
শেয়ার বিজ: বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণে ব্যাপক পতন ঘটেছে, বাজার নিয়ন্ত্রকদের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও প্রচুর পরিমাণে তহবিল প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) চলতি বছরের ১–১৫ আগস্টের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ১৯৫ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার ট্রেড করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৭ শতাংশ কম। আমাদের স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করতে তাদের কি বাধা দিচ্ছে বলে আপনি মনে করেন? এখানে প্রতিষ্ঠানগুলো কী ভূমিকা রাখতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
এম. নুরুল আলম: বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বিএসইসি অনেক কাজ করছে। তার মধ্যে সম্প্রতি রোড শো উল্লেখযোগ্য। পুঁজিবাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বিদেশি বিনিয়োগ তখনই আসবে যখন তারা দেখবে বাজার স্বাভাবিকভাবে চলছে। কোনো অনাকাক্সিক্ষত হস্তক্ষেপ ছাড়া এবং মুনাফা প্রত্যাবাসন সহজ হলে বিদেশি বিনিয়োগ এমনিতেই বাড়বে।
শেয়ার বিজ: সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে বেনিফিশিয়ারি ওনার (বিও) অ্যাকাউন্ট এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো নাটকীয়ভাবে ২০ লাখের নিচে নেমে গেছে। কারণ নতুন পদ্ধতি আসার পর আইপিও শিকারিরা তাদের বেশিরভাগ অকেজো অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে। বিও অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে আপনার চিন্তাভাবনা কী, কেন এই আইপিও শিকারিদের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ ফি দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে অদৃশ্য হয়ে যায়?
আপনি কি মনে করেন যে, পাবলিক ইস্যুতে কোটা ভিত্তি প্রবর্তন এর পেছনে অন্যতম কারণ? সিডিবিএল এই বিষয়ে তাদের যথাযথ প্রচেষ্টার অনুশীলন করছে? এই বিও অ্যাকাউন্টগুলো পর্যবেক্ষণ করার জন্য কী ব্যবস্থা নেয়া উচিত? আপনি কি মনে করেন এই অ্যাকাউন্টগুলো খুলতে অন্যান্য নথির প্রয়োজন হবে?
এম. নুরুল আলম: বিএসইসি’র লটারি প্রথা বাতিল করে নতুন প্রজ্ঞাপনের কারণে আইপিও শিকারি কিংবা ভুয়া নামে যেসব বিও অ্যাকাউন্ট ছিল সেগুলো বন্ধ হয়ে যায়। সিডিবিএলের বিও হিসাব রক্ষণারেক্ষণ ফি কমানো প্রয়োজন। এটা বড়জোর বিও অ্যাকাউন্টপ্রতি বার্ষিক ফি ১০০ টাকা হতে পারে। যখন কোনো বিও অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় থাকবে এবং হিসাবে কোনো টাকা থাকবে না ব্রোকারেজ হাউস সেই বিও’র জন্য রিনিউয়্যাল ফি না দিয়ে বরং বন্ধ করে দেবে। বিও অ্যাকাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া আরও সহজ হওয়া প্রয়োজন। এখন প্রযুক্তি এগিয়ে যাচ্ছে। ডিজিটাল যুগে এক এনআইডি দিয়ে সব কিছুর হদিস মিলবে।
শেয়ার বিজ: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ১৬ বছরের বিরতির পর সব শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের জন্য তার সেকেন্ডারি মার্কেটে সরকারি ট্রেজারি বন্ডের লেনদেন শুরু করেছে; এখন পর্যন্ত বন্ডের এই সেকেন্ডারি লেনদেন বাংলাদেশ ব্যাংক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। পুঁজিবাজারের জন্য এটা কি নতুন সুযোগ হতে পারে বলে মনে করেন? এই দায়িত্ব কি শুধু ডিএসই/বাংলাদেশ ব্যাংককে দেয়া উচিত?
এম. নুরুল আলম: বন্ড বা ট্রেজারি বিল পুঁজিবাজারে বেচাকেনা হলে বাজারের আকার বড় হবে কিন্তু ফিক্সড ইনকাম প্রডাক্ট খুব বেশি আকর্ষিত হবে না।
শেয়ার বিজ: বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি সুকুক নামে একটি শরিয়াহসম্মত বন্ড চালু করেছে; যা ইতোমধ্যেই মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের জš§ দিয়েছে। এই বিষয়ে আপনার মতামত কী, আপনি কি মনে করেন এটি শরিয়াহসম্মত ট্রেডিংয়ে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে? এটা কি ইসলামী ব্যাংক–পুঁজিবাজারের ব্যবধান কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে?
এম. নুরুল আলম: সুকুক একটি নতুন প্রডাক্ট। এটি শরিয়াহভিত্তিক বিনিয়োগ। আশা করি, এ জাতীয় বন্ডগুলো ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হবে।
শেয়ার বিজ: মার্কেট ম্যানিপুলেশন স্টক মার্কেটের জন্য একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০১০ সালে বাজারের পতনের পর নিয়ন্ত্রকরা বহুগুণে মনিটরিং বাড়িয়েছে। বাজার পর্যবেক্ষণে বিএসইসি কেমন করছে? বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য আপনার মতে কী পদক্ষেপ নেয়া দরকার?
এম. নুরুল আলম: মার্কেট ম্যানিপুলেশন স্টক মার্কেটে হয়ে থাকে। এটি স্টক মার্কেটের বা পুঁজিবাজারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। বিএসইসির নতুন সব নীতিমালা মার্কেট ম্যানিপুলেশন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। আমি মনে করি, অনাকাক্সিক্ষত হস্তক্ষেপ না হলে বাজার স্বাভাবিক থাকলে উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে বাজার ভালোই চলবে।
নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার বাইরে অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে যদি বাজার অস্বাভাবিক সেল প্রেসার আসে তাহলে বাজার দরপতন দেখবে।
শেয়ার বিজ: বর্তমান স্টক মার্কেটের কর্মক্ষমতাকে প্রভাবিত করছে এমন নন–মার্কেট ফ্যাক্টরগুলো কী বলে আপনি মনে করেন? আপনি কি কোনো বাবলের সম্ভাবনা দেখছেন?
এম. নুরুল আলম: পুঁজিবাজারকে প্রভাবিত করে এমন অন্য সংস্থার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত!
আমি কোনো বাবলের সম্ভাবনা দেখছি না, তবে বিনিয়োগকারীদের সচেতনভাবে কেনাবেচা করতে হবে।
শেয়ার বিজ: চট্টগ্রাম স্টক মার্কেট সম্প্রতি কমোডিটি এক্সচেঞ্জে প্রাথমিক সম্মতি পেয়েছে। এই প্রক্রিয়া সম্পর্কে আপনার মতামত কী?
এম. নুরুল আলম: অনেক সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। এর সক্ষমতা থাকলেও অব্যবহৃত! কমোডিটি এক্সচেঞ্জ সিএসই’র জন্য একটি বিশাল প্রাপ্তি। এ সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে ভালো হবে। বাংলাদেশ কমোডিটি এক্সচেঞ্জের নতুন কোনো কম্পিটিশন নেই। সিএসই এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারে।
শেয়ার বিজ: সম্প্রতি ওয়ান ব্যাংকের ঘটনার পর বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের মধ্যে যোগাযোগের অভাবের বিষয়টি বেরিয়ে আসে। এই দুটি উল্লেখযোগ্য বাজার নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে অনেকবার সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে আসতে ব্যর্থ হয়েছে, যেমন দৈনন্দিন লেনদেন মনিটরিং, ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউস পরিদর্শন, অবণ্টিত লভ্যাংশÑএই বিষয়ে আপনার মতামত কী? এই ব্যবধান পূরণে কী পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন?
এম. নুরুল আলম: সব বিষয়ে সকল পক্ষ একমত নাও হতে পারে। তবে দেশের অর্থনীতির স্বার্থে সব পক্ষকে কাজ করতে হবে এবং কিছু সিদ্ধান্ত নিতে সমন্বয় সাধন প্রয়োজন।
শেয়ার বিজ: প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে ‘২৩টি ব্যাংক শেয়ার বাজারে ১৪৩.৬ বিলিয়ন টাকা পাম্প করেছে’Ñএই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কর্মক্ষমতা সম্পর্কে আপনার মতামত কী? যদিও বিএসইসি এখনও এই বিনিয়োগে সন্তুষ্ট নয়, তারা স্টক মার্কেটে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর আরও সুযোগ দেখতে পাচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) বলেছে, ব্যাংকগুলো বিদ্যমান বিধানগুলোতে সেট করা সম্পূর্ণ বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সীমা মেনে চলতে বাধ্য নয়। এই বিষয়ে আপনার মতামত কী?
এম. নুরুল আলম: মার্কেট এক্সপোজার বিষয়ে বিএসইসি কাজ করছে। আশা করি, বন্ড এ বিনিয়োগ এক্সপোজারের বাইরে থাকলে ভালো হবে। অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে পারলে ভালো হবে।
শেয়ার বিজ: কেন বাজারের বড় খেলোয়াড়রা স্টক মার্কেটে প্রবেশ করতে নিরুৎসাহিত হয়? আপনি কি মনে করেন, বিদ্যমান প্রণোদনা কাঠামো এই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের জন্য যথেষ্ট সহায়ক?
এম. নুরুল আলম: ব্যক্তি পুঁজি দিয়ে বড় বিনিয়োগ কখনও সম্ভব নয়। আর্থিক প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক মার্জিন ঋণ এর বিনিয়োগ করতে পারছে না। এক্সপোজার লিমিটের কারণে বড় বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হচ্ছে। তাদের আকৃষ্ট করতে হবে। নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার এ বিষয়ে সচেতন করতে হবে।
শেয়ার বিজ: প্রাক–মহামারি এবং মহামারি সময়কালে পুঁজিবাজারের কর্মক্ষমতা সম্পর্কে আপনার পরামর্শ কী?
এম. নুরুল আলম: প্রাক-মহামারি পুঁজিবাজার অনবরত পতনমুখী ছিল। বড় ধসের পরে মহামারি সময়কালে তো বাজার বন্ধই ছিল দীর্ঘদিন। বর্তমানে পুঁজিবাজারে পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আমি আশাবাদী।