এইচ.এম. সিরাজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: পুকুর ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বের রেশ পড়ল চাষকৃত মাছের ওপর। কীটনাশক প্রয়োগে নিধন করা হলো ১২ লাখ টাকার মাছ। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা এলাকার এ ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে একজনকে। এ নিয়ে এলাকায় চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, রাতের আঁধারে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে ১২ লাখ টাকার মাছ নিধন করার অভিযোগে আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের ঘোলখার গ্রামের ভুক্তভোগী মাছ চাষি মো. বশির আহমেদ ভূঁইয়া ১০ জনের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়। এ ঘটনার পর মামলার অপর আসামিরা বাদী বশির আহমেদকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ঘোলখার গ্রামের বাসিন্দা মো. বশির আহমেদ তার গ্রামের একটি পুকুর ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করেন। পুকুরটিতে রুই, কাতল ও তেলাপিয়াসহ নানা প্রজাতির মাছ চাষ করেন তিনি। কিন্তু পুকুরটি ইজারা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের বাসিন্দা মো. নিমা মিয়াসহ আরও কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। নিমা মিয়াসহ অন্যান্য জোরপূর্বক পুকুরটি তাদের দখলে নিতে চান।
এর জেরে গত ২৫ মে রাত সাড়ে ১১টায় নিমা মিয়াসহ আরও দুজনকে পুকুরের পাশে দেখতে পান বশির। এ সময় বশির তাদের দেখে পুকুরের কাছে আসার কারণ জানতে চাইলে তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। ২৬ মে ভোররাতে বশির পুকুরে গিয়ে দেখতে পান তার সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। পুকুরে তখন দুটি কীটনাশকের বোতলও পাওয়া যায়।
কীটনাশক প্রয়োগের ফলে পুকুরটিতে থাকা প্রায় ১২ লাখ টাকার মাছ মরে যায়। এ ঘটনায় বশির আহমেদ বাদী হয়ে নিমা মিয়াসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায়।
মামলার বাদী বশির আহমেদ ভূঁইয়া জানান, অভিযুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে আমার ইজারা নেওয়া পুকুরটিকে দখলে নেওয়ার পাঁয়তারা করছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতেই পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করার পর আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন অভিযুক্ত আসামিরা।
আখাউড়া থানাধীন ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) বিমল কর্মকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইতোমধ্যে মামলার এজহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।