শেয়ার বিজ ডেস্ক : মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর দেশটির সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং প্রথমবারের মতো রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লামির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করলেন। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে দেশ দুটির এ বৈঠক অনেক তাৎপর্যপূর্ণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। মিন অং হ্লাইং ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখলের পর দুবার রাশিয়া সফর করলেন। খবর আলজাজিরা
রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর ভ্লাদিভস্তকে ইস্টার্ন ইকনোমিক ফোরামের সম্মেলনে যোগ দিতে তার এ সফর। ফোরামে অংশ নিয়ে দুই নেতার সাইডলাইন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় আজ বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর)। চীন, ভারত, জাপান, কাজাখস্তানসহ অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিও অংশ নিচ্ছেন এই ফোরামে।
বৈঠকে আলোচনা সম্পর্কে আরআইএ বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেছেন, ‘আমাদের সম্পর্ক ইতিবাচকভাবে উন্নীত হচ্ছে’। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর পুতিন হলেন দ্বিতীয় বিদেশি নেতা যিনি মিন অং হ্লাইংয়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা গ্লোবাল নিউ লাইট জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে মিয়ানমার সেনাপ্রধান প্রেসিডেন্ট পুতিনের উপদেষ্টা আন্তন কোব্যাকভের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাদের একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে এতে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী আলেকজান্ডার ফোমিন ও মিয়ানমারের ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন সেখানে। গত মার্চ মাসে মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবসে ফোমিন একজন অতিথি হিসেবে সফর করেছিলেন।
দুদেশের প্রতিনিধিরা রাশিয়ান ফেডারেশন ও মিয়ানমার, দুই সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে ভালো বন্ধু হিসেবে ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা করেছে। সংবাদপত্রটি বলছে, ২০২২ সালে দুই দেশের মধ্যে ক‚টনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্ণ হলো। পর্যটন, তেল ও গ্যাসবাণিজ্য সম্প্রসারণে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালুসহ আরও বিস্তৃত অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে কথা বলা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মিয়ানমার গত আগস্টে সংকট কাটাতে রাশিয়ার জ্বালানি তেল আমদানির পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছিল। ভøলাদিভোস্টকে মিন অং হ্লাইং পুতিনকে বলেন, রাশিয়ান রুবলে আমদানির জন্য মিয়ানমার প্রস্তুত।
মিয়ানমারে মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত টম অ্যান্ড্রুস এ বছরের শুরুর দিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলকে বলেছিলেন, অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে অস্ত্র সরবরাহ করেছেÑ এমন তিনটি রাষ্ট্রের মধ্যে রাশিয়া একটি। বাকি দেশগুলো ছিল চীন ও সার্বিয়া।