শেয়ার বিজ ডেস্ক: সিটিগ্রুপের সিইও জেন ফ্রেজার বৃহস্পতিবার ব্যাংকের পরিপূর্ণ পরিমার্জন বিষয়ে আলোচনা করার জন্য ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে একটি কল কনফারেন্স করেছিলেন। সভায় এ সপ্তাহে আরও কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে অপসারণ করা হয়েছে। সিটিগ্রুপ পরিস্থিতির সঙ্গে পরিচিত দুটি সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবরে রিপোর্ট করেছে রয়টার্স।
বিশ্বস্ত সূত্র ও পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও দুজনের মতে, বাজার, ঝুঁকি ও বিনিয়োগ ব্যাংকিংয়ের ব্যবস্থাপকদের জানানো হয়েছে, তাদের পরিমার্জন ও পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে ছাঁটাই করা হচ্ছে। পৃথক কথোপকথনে ব্যবস্থাপকদের অপসারণ সম্পর্কে জানানো হয়।
কয়েকজন ব্যবস্থাপককে বলা হয়েছিল, তাদের পদ ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আর বহাল থাকবে না। চারটির মধ্যে দুটি সূত্র থেকে এমনটাই জানা গেছে। তারা আরও জানায়, ছাঁটাই ও ক্ষতিপূরণ পেমেন্ট সম্পর্কে আরও বিশদ আগামী সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে।
সিটিগ্রুপ মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
গত সপ্তাহে ব্যাংকটি বলেছে, এটি আগামী দুই বছরে ২০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করেছে। চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ওয়ান-অফ চার্জের কারণে ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির পর এ সিদ্ধান্ত নেয় ব্যাংকটি।
সিটিগ্রুপ কাটছাঁটের বিষয়ে পর্যায়ক্রমিক আপডেট সরবরাহ করেছে। আর পরেও বিনিয়োগকারী ও কর্মীরা সাংগঠনিক পরিবর্তনগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ত সময়কাল ও অন্যান্য খুঁটিনাটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন। তবে বৃহস্পতিবার ফ্রেজারের কনফারেন্স কলের আগে থেকে জানানো হয়নি।
ম্যানেজিং ডিরেক্টরদের সঙ্গে কল চলাকালে ফ্রেজার পুনর্গঠনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এ সময় তিনি আগামী দুই বছরে ২০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের জন্য বৃহত্তর পরিকল্পনাও প্রকাশ করেছেন। কল সম্পর্কে ব্রিফ করা হয়েছিল, এমন একটি সূত্র জানিয়েছে এ তথ্য।
ফ্রেজার বলেছেন, চলমান পুনর্গঠনের অংশ হিসেব পাঁচ হাজার কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে। এছাড়া আরও পাঁচ হাজার কর্মচারীকে বিক্রি-সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড থেকে অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছে সূত্রটি।
প্রযুক্তি ও অপারেশনের মতো সহায়তা কর্মকাণ্ড থেকে বাদ দেয়া হবে আরও ১০ হাজার কর্মীকে বলে জানায় সূত্রটি।
সিটিগ্রুপ তার মোট কর্মীর আট শতাংশ ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাঁটাই সাম্প্রতিক কয়েক বছরে ওয়াল স্ট্রিটে সবচেয়ে বড় ছাঁটাইয়ের মধ্যে একটি। ব্যাংককে প্রবাহিত করতে এবং ব্যাংকের রিটার্ন ও শেয়ারের দাম বাড়ানোর প্রচেষ্টা হিসেবেই এ পুনর্গঠন অভিযান চালাচ্ছেন ফ্রেজার।
সিটি আমেরিকার তৃতীয় বৃহত্তম ব্যাংক। ব্যাংকটি তার অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি দীর্ঘদিনের ঘাটতি সংশোধনের দাবিতে ২০২০ সালে নিয়ন্ত্রকদের দ্বারা একটি সম্মতি আদেশের সঙ্গেও কাজ করছে।
সিটি জগদীশ রাওকে তার নিয়ন্ত্রক রিপোর্টিং ও প্রতিকার প্রধান হিসাবে নিযুক্ত করেছে। তিনি ফাইন্যান্স প্রধান মার্ক ম্যাসন ও চিফ অপারেটিং অফিসার আনন্দ সেলভাকেসারির কাছে রিপোর্ট করবেন। একটি অভ্যন্তরীণ মেমোতে এ খবর পাওয়া গেছে। মেমোটির বিষয়বস্তু রয়টার্সের সঙ্গে শেয়ার করা হয়েছে এবং সিটি গ্রুপের একজন মুখপাত্রও এ খবর নিশ্চিত করেছেন। রাও সম্প্রতি ব্যক্তিগত ব্যাংকিং ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা ব্যবসার জন্য প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন।