শেয়ার বিজ ডেস্ক: নতুন আইন অনুযায়ী আফগান নারীরা পুরুষ অভিভাবক ছাড়া উড়োজাহাজে চড়তে পারবেন না। আফগানিস্তানের সব এয়ারলাইনসকে এ নির্দেশ দিয়েছে বর্তমান তালেবান সরকার। খবর: রয়টার্স।
পুণ্য প্রচার ও পাপ প্রতিরোধ মন্ত্রণালয় থেকে গত শনিবার দেশটির সব এয়ারলাইনসকে
এ-সংক্রান্ত চিঠি দিয়ে নতুন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। তবে এরই মধ্যে যে নারীরা পুরুষ সঙ্গী ছাড়া বিমানের টিকিট বুকিং দিয়েছে, তারা ভ্রমণ করার অনুমতি পাবেন। এর মেয়াদ শেষ হলে আর নিজেরা ভ্রমণ করতে পারবেন না। তবে অভিযোগ রয়েছে, গত শনিবারও কাবুল বিমানবন্দর থেকে টিকিট কাটা রয়েছে, এমন কয়েক নারীকে উড়োজাহাজে উঠতে দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। এর আগে তালেবান প্রশাসনের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, বিদেশে পড়তে যাওয়া নারীদের উচিত কোনো পুরুষ স্বজনকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া। এর আগে গত বুধবার মেয়েদের উচ্চমাধ্যমিক স্কুল খুলে আবার বন্ধ করে দেয়া হয়। অথচ মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বর্তমান সরকার। এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র গত শুক্রবার অর্থনৈতিক নানা বিষয় নিয়ে তালেবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিল করে।
গত বছর ১৫ আগস্ট তালেবান দেশটির মসনদে বসে। এরপর সেপ্টেম্বরের শুরুতে তালেবান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার ঘোষণা দেয়। অবশ্য সরকার গঠন করলেও বিশ্বের কোনো দেশই এখন পর্যন্ত তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। এর জেরে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন দাতা সংস্থাও আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তাসহ অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেয়। আফগানিস্তানকে স্বীকৃতি না দিলেও বারবার মানবাধিকার ও নারী অধিকারের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েছে তারা। তাদের অন্যতম দাবি ছিল, মেয়েদের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। তালেবান সরকারের স্বীকৃতি ও আফগানিস্তানকে ত্রাণসাহায্য দেয়ার ক্ষেত্রেও নারী অধিকার ও শিক্ষার বিষয়টি তারা সামনে এনেছে।