পুরোনো সেই সেলফোনগুলো

রতন কুমার দাস: স্মার্টফোনের ভিড়ে হারিয়ে গেছে অনেক জনপ্রিয় মোবাইল ফোন। তবু সেই ফোনগুলোর প্রতি ব্যবহারকারীদের ভালোবাসা কমেনি একটুও। দেখে নিন এর কয়েকটি

Classic phones1

নকিয়া ১১১০

ধারণা করা হয়, সবচেয়ে বেশি বিক্রীত মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট ছিল এটি। ডিজাইন, টেকসই বডি ও দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি ফোনটিকে জনপ্রিয় করে তোলে। ২০০৩ সালে বাজারে আসে এটি। এই ফোনটিতেই প্রথম টর্চলাইট যুক্ত করা হয়। প্রায় ৫০টি মেসেজ ধারণ করতে পারত নকিয়া ১১১০। এর রিংটোনগুলোও ছিল মনভোলানো। হ্যান্ডসেটটির অন্যতম আকর্ষণীয় দিক ছিল উঁচু থেকে পড়ার পরও ভেঙে যেতো না।

Classic phones2

এরিকসন টি২৮

মোবাইল ফোনটির ওজন ছিল মাত্র ৮৩ গ্রাম। ১৯৯৯ সালে বাজারে আসে এটি। তখনকার দিনে সবচেয়ে সিøম ফোন ছিল এটি। এতে বিশেষ ফিচার হিসেবে ছিল ডুয়াল-ব্যান্ড জিএসএম ও ২৫০ কন্ট্যাক্ট স্টোরক্ষমতা। ফোনটিতে টেট্রিস ও সলিটেয়ারের মতো ক্ল্যাসিক গেমসও ছিল। এর মনোফোনিক রিংটোন প্রায় সব ব্যবহারকারীর প্রিয় ছিল। এছাড়া হ্যান্ডসেটটি দিয়ে ব্যবহারকারীরা রিংটোন কম্পোজ করতে পারতেন।

Classic phones3

ব্ল্যাকবেরি পার্ল ৮১০০

অতীতে আভিজাত্যের প্রতীক ও ব্যবসায়িক যোগাযোগের মাধ্যম ছিল ব্ল্যাকবেরির সব মোবাইল ফোন। ব্ল্যাকবেরি পার্লও এর ব্যতিক্রম ছিল না। এটি বাজারে আসে ২০০৬ সালে। এতে ছিল উন্নত কিবোর্ড ও রঙিন স্ক্রিন। এখানে প্রিসাইজ নেভিগেশনের একটি ট্র্যাকবলও ছিল। এই হ্যান্ডসেটটিতে প্রথম এক দশমিক তিন মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা যুক্ত করা হয়। ব্ল্যাকবেরির নিরাপত্তার কথা না বললে বাদ থেকে যায় অনেককিছুই। প্রতিষ্ঠানটির বিখ্যাত নিরাপত্তা সিস্টেমও ছিল এই ফোনটিতে।

 

Classic phones4

সনি এরিকসন কে ৭৫০

এই ফোনটিতে ছিল দুর্দান্ত ক্যামেরা। অডিও কোয়ালিটি ছিল অসাধারণ। ২০০৫ সালে ফোনটি বাজারে আসে। এতে বিশেষ ফিচার হিসেবে ছিল একটি ক্যান্ডিবার যাতে নেভিগেশনের জন্য প্রতিষ্ঠানটির ‘জয়স্টিক’ ব্যবহার করা হতো। এটি ছিল বিখ্যাত ফিচার। এর সাইডে ছিল ভলিউম কন্ট্রোল কি। এগুলো ব্যবহার করা হতো ক্যামেরা মোডে জুম ইন ও জুম আউট করার জন্য।

 

Add Comment

Click here to post a comment

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০