নিজস্ব প্রতিবেদক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ঋণমান অবস্থান (ক্রেডিট রেটিং) নির্ণয় করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং লিমিটেড (আলফারেটিং)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটি দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এ প্লাস’ আর স্বল্প মেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-৩’। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ৪ অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং দিয়েছে আলফারেটিং।
এদিকে সম্প্রতি চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিমা খাতের কোম্পানিটি। আর প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২১) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪২ পয়সা। অর্থাৎ, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস সাত পয়সা কমেছে। আর প্রথম দুই প্রান্তিক বা ছয় মাস (জানুয়ারি-জুন, ২০২১) শেষে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৮৩ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৭ পয়সা। এছাড়া ২০২১ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ছয় পয়সা, যা ২০২০ সালের ৩০ জুনে ছিল ১৩ টাকা ৫৬ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৬৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল এক টাকা ২৮ পয়সা।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য মোট ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ১৬ পয়সা। আর ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৯ পয়সা।
বিমা খাতের কোম্পানিটি ১৯৯৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫৮ কোটি সাত লাখ টাকা। বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ ১৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট পাঁচ কোটি ৮০ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৫ শেয়ার রয়েছে। তাদের এই শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৩১ দশমিক ৭৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ২৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৪৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ শেয়ার।
