Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 12:56 pm

পূর্ব জয়নারায়ণপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় : ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পাঠদান

শেয়ার বিজ প্রতিনিধি, ফেনী: শ্রেণিকক্ষ সংকটে ফেনীর দাগনভ‚ঞা উপজেলার পূর্ব জয়নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যক্ত ভবনে। বৃষ্টির সময় বাধ্য হয়ে ক্লাস নিতে হয় অফিসকক্ষে। প্রতিদিন বেঞ্চ আনা-নেওয়া করেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। ফলে পড়ালেখায় পিছিয়ে পড়ছে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

চারকক্ষবিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের ঝুঁকিপূর্ণ ছাদ, দেয়াল ও পিলারের কিছু কিছু অংশ খসে পড়েছে। এ ভবনের একটি কক্ষ অফিস, দ্বিতীয়টি স্টোর রুম, তৃতীয়টি শিশু কর্নারÑযেখানে রয়েছে শিশুদের বই ও খেলনা, সে কক্ষে টেবিল ছাড়াই কারপেটে ক্লাস নেওয়া হয়। শুধু চতুর্থ রুমটিতে টেবিল-চেয়ার আছে। সেখানে প্রথম শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হয়। দরজা-জানালা ও বেড়া ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যক্ত টিনশেডের পুরোনো স্কুলটিতে কোনোরকমে দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস নেওয়া হলেও তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির জন্য নেই কোনো টেবিল, চেয়ার ও শ্রেণিকক্ষ।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আরা জানান, শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে শিক্ষার গুণগত মান ধরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। চার কক্ষবিশিষ্ট ভবনটিতে শিশু শ্রেণি ও প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কোনোরকমে ক্লাস করলেও অবকাঠামোর অভাবে অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হয় অফিসকক্ষে ও ঝুঁকিপূর্ণ টিনশেড ঘরে। যেখানে নেই কোনো দরজা-জানালা ও বেড়া। বৃষ্টি এলেই পানি পড়ে। ফলে ক্লাস নেওয়া সম্ভব হয় না। চাহিদার তুলনায় শ্রেণিকক্ষ ও বেঞ্চ কম থাকায় কষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। তাই বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত স্কুলঘরে পাঠদান চালাতে হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসতে আগ্রহ হারাচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা জানায়, অনেক কষ্ট করে দরজা-জানালা ছাড়া খোলা ও পুরোনো স্কুলটিতে ক্লাস করতে হয়। বৃষ্টি হলে শিক্ষকরা ছুটি দিয়ে দেন। কেননা তখন ক্লাসে থাকা যায় না।

সহকারী শিক্ষক দিলরুবা আক্তার লুবনা জানান, এসব সমস্যার মধ্যে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে হিমশিম খেতে হচ্ছে। পড়ার সময় ছাত্রছাত্রীদের মনোযোগ অন্যদিকে চলে যায়।

স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজাদ ভ‚ঞা জানান, ‘এ স্কুলের সাবেক ছাত্র আমি। অবহেলিত স্কুলটির প্রতি সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’ উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রাশেদ হাজারী জানান, বিদ্যালয়টির সমস্যা সম্পর্কে তারা অবগত। এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদে আলোচনা হয়েছে। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যার কথা জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।