আগামী মাসেই পৃথিবীর কক্ষপথে যাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির উদ্ভাবিত ন্যানো-স্যাটেলাইট ‘অন্বেষা’। জাপানের কিতাক্যউশুতে অবস্থিত ক্যউশু ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (কেআইটি) থেকে স্যাটেলাইটটি গ্রহণ করেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভিসি অধ্যাপক সৈয়দ সাদ আন্দালিব।
১০ সেন্টিমিটার ব্যাসার্ধের চৌকোনা এ স্যাটেলাইট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জাপানের ইনস্টিটিউটে তৈরি হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটার উঁচুতে পৃথিবীর চারপাশে মাত্র ৯০ মিনিটে ঘুরে আসবে এটি। বাংলাদেশের ওপর দিনে চার থেকে ছয়বার প্রদক্ষিণ করবে।
এ স্যাটেলাইট বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে নতুনভাবে পরিচিত করবে বলে সংশ্লিষ্টরা বিশ্বাস করেন। তারা আরও মনে করেন, এর মাধ্যমে বিশ্বের নানা দেশের বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতেও সক্ষম হবে বাংলাদেশ। কেননা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান গবেষণায় আর পিছিয়ে নেই; এ আবিষ্কারের ফলে তা প্রতীয়মান হবে।
সাধারণত বিশ্বের নানা কোম্পানি ভারত ও চীনে সস্তা শ্রমের কারণে বিনিয়োগ করে থাকে। সেদিক বিবেচনায় যদি এ দেশের ছেলেমেয়েরা প্রযুক্তিগত উন্নতি সাধন করতে পারে, তবে বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে পছন্দের তালিকায় রাখবে বলে আশাবাদী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
স্যাটেলাইটটি তৈরি করা হয়েছে গবেষণার উদ্দেশ্যে। এটা খুব নিচে থাকবে বলে অনেক হাইকোয়ালিটির ছবি পাওয়া যাবে। ছবি অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে ভালো সুবিধাও পাওয়া যাবে। মহাশূন্যের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ, দুর্যোগকালীন জরুরি অবস্থা, সমুদ্রসীমা ও কৃষি পরিস্থিতির ছবি পাঠাবে এ স্যাটেলাইট।
অন্বেষার নকশা, উপকরণ সংগ্রহ ও নির্মাণের পুরো কৃতিত্ব ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীÑ রায়হানা শামস ইসলাম অন্তরা, আবদুল্লা হিল কাফি ও মাইসুন ইবনে মনোয়ার। তারা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল (ইইই) বিষয়ে স্নাতক শেষ করে জাপানের কেআইটিতে স্নাতকোত্তর করছেন।
ন্যানো স্যাটেলাইট তৈরি বা উৎক্ষেপণের কাজ জাপানে হলেও বাংলাদেশ থেকে তা নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এজন্য গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন নির্মাণের কাজ চলছে। এ নিয়ে কাজ করছেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক দল শিক্ষার্থী। এ দলে রয়েছেন মোজাম্মেল হক, সানন্দ জগতি, বিজয় তালুকদার ও আইনুল হুদা। তাদের সহায়তা করছে স্পারসো।
Add Comment