নিজস্ব প্রতিবেদক: বাজারে চড়া দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। দুদিনের মধ্যে ১০০ টাকার পেঁয়াজ হয়ে গেছে ২৫০ টাকা। এ পণ্যটি মজুত ও কালোবাজারি করা হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ার দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ এই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল চকবাজার ও শ্যামবাজার এলাকায় মাঠে নেমেছে।
গতকাল রোববার রাজধানীর মিন্টু রোডে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি কালোবাজারি করে, পেঁয়াজ মজুত করে এবং বেশি দামে বিক্রির পাঁয়তারা করে, তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব। ডিবির লালবাগ বিভাগের একাধিক টিম চকবাজার ও শ্যামবাজার এলাকায় কাজ করেছে। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছে।’
প্রতিবেশী ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম রাতারাতি বেড়ে গেছে। দেশজুড়ে খুচরা ও পাইকারিতেও দামে উল্লম্ফন হয়েছে।
দাম আরও বাড়তে পারেÑএমন গুঞ্জনে পেঁয়াজের সরবরাহও কমেছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে। এতে গত শনিবার সকাল থেকে রান্নার কাজে নিত্যব্যবহার করা এ পণ্যের দামের কেজি ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। এক দিনের মধ্যে কোথাও কোথাও দাম প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকা কেজিদরে।
আগের দিন শুক্রবারও এ দর ছিল ১১০ থেকে ১২০ টাকা। শনিবার কারওয়ান বাজারসহ ঢাকার বিভিন্ন বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজিদরে। আগের দিন এ দর ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা।
দামের এ ঊর্ধ্বগতির মধ্যে শনিবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান চালায় কারওয়ান বাজার ও মিরপুরসহ বেশ কয়েকটি বাজারে। সেখানে কর্মকর্তারা ন্যায্য দামে পেঁয়াজ বিক্রিতে বাধ্য করার পাশাপাশি অনেক ব্যবসায়ীকে জরিমানাও করে।
