পেঁয়াজ আমদানিতে ৫% শুল্কারোপ, চালে শুল্ক হ্রাস

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত বছর ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দিলে দেশে পেঁয়াজের সংকট দেখা দেয়। সেই সংকট কাটিয়ে দেশি পেঁয়াজ বাজারে উঠতেই ভারত রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয়। এ অবস্থায় সরকার বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশ শুল্কারোপ করেছে। অন্যদিকে চাল আমদানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক কমানোরও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বাজারে ক্রমাগতভাবে বাড়ছে চালের দাম। চালের সরবরাহ বাড়াতে আমদানির অনুমতি দিয়েও উদ্দেশ্য সফল হয়নি। পরে আমদানি উৎসাহিত করতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের ভিত্তিতে গত ২৭ ডিসেম্বর বিদ্যমান চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। শুল্ক কমিয়েও চালের বাজার সহনীয় করা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে চালের আমদানি শুল্ক আরও ১৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিল সরকার। এক্ষেত্রে চাল আমদানিতে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক দিতে হবে, আগে যা ছিল ২৫ শতাংশ। এছাড়া সব ধরনের রেগুলেটরি (নিয়ন্ত্রণমূলক) শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে।

অপরদিকে ভারত থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আসতে শুরু করায় বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা। কারণ মিসর ও তুরস্ক থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ এখন আর কেউ কিনছেন না। আমদানি করা এই পণ্যটি পচে যাচ্ছে। এতে ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়ছেন। আবার ভারতের পেঁয়াজ আসা অব্যাহত থাকলে দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের দাম পড়ে যাবে। এতে দেশের কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এমন পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের ওপর আমদানি শুল্কারোপের অনুরোধ জানিয়ে গত ৩ জানুয়ারি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি লেখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি পাওয়ার পর দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের সুরক্ষা দিতেই পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে পাঁচ শতাংশ শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০