Print Date & Time : 24 June 2025 Tuesday 4:05 pm

পেঁয়াজের দাম ১২০ টাকা ছাড়িয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক মাস ধরে স্বস্তি নেই পেঁয়াজের বাজারে। সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে পেঁয়াজের দাম। এই নিত্যপণ্যটির দাম বেশ কিছুদিন ধরে ১০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করলেও গতকাল খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা কেজি দরে। তবে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কম রয়েছে।

কারওয়ান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ খুবই কমে গেছে। তবে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এ কারণেই দাম ওঠানামা করছে। তবে খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে নতুন পেঁয়াজ পাতাসহ পাওয়া যাচ্ছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে সরবরাহ অনেক বেড়ে যাবে। তখন তো পেঁয়াজের দাম কমাতে বাধ্য হবে তারা। এজন্যই এখন বেশি দামে বিক্রি করে পুষিয়ে নিচ্ছে।

দেশি পেঁয়াজের বাজার অস্থির হলেও আমদানি করা পেঁয়াজ গত সপ্তাহের মতো একই দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ৭৪-৭৮ টাকা এবং খুচরা বাজারে ৮৫-৯০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়েছে। পেঁয়াজের দামে অস্থিরতার মধ্যেও সাধারণ মানুষ কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে নতুন পাতাসহ পেঁয়াজের কারণে। পেঁয়াজ ও সবজি হিসেবে একই সঙ্গে ব্যবহার করা যাচ্ছে এটি। তবে নতুন এ পণ্যটি বিক্রি করা হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেঁয়াজের দাম অনেকটা বাড়লেও বাড়েনি শীতকালীন সবজির দাম। প্রতি কেজি বেগুন প্রকারভেদে ১০ টাকা কমে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটোল ১০ টাকা কমে ৪০, কচুরলতি ৪৫, লাউ প্রতিটি ৪০, মিষ্টিকুমড়া প্রতিটি ২০, কাঁচামরিচ ১৪০, পেঁপে ২০, শিম ৪০ থেকে ৫০, বরবটি ৬০, টমেটো ১২০, গাজর ৪০, শসা ৩০ থেকে ৪০, মূলা ৩০, নতুন আলু ৩৫, চিচিঙ্গা ৫০, বাঁধাকপি প্রতিটি ৩০ ও ফুলকপি প্রতিটি ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

মাছ-মাংসের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিকেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০, ব্রয়লার মুরগি ১৩৫, লেয়ার মুরগি প্রতিটি আকারভেদে ১৫০ থেকে ২২০ ও পাকিস্তানি মুরগি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

এদিকে প্রায় সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। মাছের বাজারে প্রতি কেজি রুই ৩৫০ টাকা, কাতল ৩০০, তেলাপিয়া ১৫০, পাঙ্গাশ ১৪০, সিলভার কার্প ১৫০, শিং ৫০০, চিংড়ি ৬০০ ও বোয়াল ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে।