হিলি প্রতিনিধি : দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দীর্ঘ দুই মাস বন্ধের পর ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে পাইকারি বাজারে কমতে শুরু করেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। দুদিনের ব্যবধানে দাম কমেছে প্রতি কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা। এতে স্বস্তি ফিরেছে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে।
আজ বুধবার (৬ জুলাই) সকালে বাজারে সরেজমিনে দেখা যায়, পাইকারি দোকানগুলোতে থড়ে থড়ে সাজানো রয়েছে দেশি পেঁয়াজ। অনেকে আবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে মজুত করেছেন অনেক পেঁয়াজ। তবে ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাজারে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকার আইপি প্রদান করেছে। আর অনুমতি পাওয়ায় গতকাল থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে কমতে শুরু করেছে দেশি পেঁয়াজের দাম। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম কমেছে ৮ থেকে ১০ টাকা। যে পেঁয়াজ দুদিন আগেও বিক্রি হয়েছিল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। সেই পেঁয়াজ আজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির কারণেই দাম কমেছে।
বাজারে কয়েকজন পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, দীর্ঘ দুই মাস থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। এতদিন বাজারকে দেশি পেঁয়াজ নিয়ন্তণ করেছে। দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ার ফলে দাম একটু বৃদ্ধি পায়। তবে সরকার পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য ভারত থেকে আমদানির অনুমতি দিলে গতকাল থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। আর এর প্রভাব পড়ে দেশি পেঁয়াজের ওপর। তবে কম দামে বিক্রি করায় আমাদের অনেক লোকসান হবে। কারণ আমরা ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রির জন্য অনেক পেঁয়াজ কিনে রেখেছিলাম।
একজন আমদানিকারক বলেন, দীর্ঘ দুই মাস পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে গতকাল কিছু পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। এ খবরে হিলি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমতে শুরু করেছে ১০ টাকা। আমাদের আরও অনেক পেঁয়াজের এলসি করা আছে, সেগুলো এলে পেঁয়াজের দাম অনেক কমে আসবে। তবে সরকারকে সাধুবাদ জানাই যে, দেশের জনগণের কথা চিন্তা করে পেঁয়াজের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভারত থেকে পেঁয়াজের অনুমতি দিয়েছে। এতে পেঁয়াজ আমদানি করে আমরাও লাভবান হব এবং সাধারণ মানুষেরও উপকার হবে।
পেঁয়াজ আমদানির খবরে কমেছে দেশি পেঁয়াজের দাম
