পেঁয়াজ আমদানি ঋণে সর্বোচ্চ সুদ ৯ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে সৃষ্ট পেঁয়াজ সংকট মোকাবিলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটি আমদানির সর্বোচ্চ সুদহার ৯ শতাংশে বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সুদহার বহাল থাকবে। এ সময়ে তুলনামূলক কম খরচে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন আমদানিকারকরা। এতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের ঊর্ধ্বমুখী দর সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে জারি করা এক পরিপত্রে দেশের ব্যাংকগুলোকে পেঁয়াজ আমদানির সুদ আরোপে নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়। পরিপত্রে বলা হয়, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণে স্থানীয় বাজারেও পণ্যটির দাম ঊর্ধ্বমুখী দেখা যাচ্ছে। এ কারণে বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের সরবরা নিশ্চিত ও পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতি রোধকল্পে আমদানি অর্থায়নের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো। এছাড়া পেঁয়াজ আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্যও ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সম্প্রতি দেশের বাজারে আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি ৮০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এ কারণে জনসাধারণের দৈনন্দিন খরচও বেড়েছে। এদিকে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে খোলা বাজারে ৪৫ টাকা করে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি করতে শুরু করেছে সরকার। গত মঙ্গলবার থেকে ঢাকার ৩৫টি এলাকায় ট্রাকসেলের মাধ্যমে এ পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়।
এদিকে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি গতকাল সাংবাদিকদের জানান, মিয়ানমার থেকে ৪৮৩ টন পেঁয়াজ এসেছে। গতকাল আরও ৪০০-৫০০ টন আসার কথা রয়েছে। ফলে আজ বা কালকের মধ্যে পেঁয়াজের দাম ৬০-৭০ টাকায় চলে আসবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০