Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 10:33 am

পেছাচ্ছে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন পিছিয়ে যেতে পারে। দেশের দক্ষিণ জনপদের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার সময়সূচি কেন পিছিয়ে যাচ্ছে, তার একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, সেতুর নির্মাণকাজের জন্য কিছু সরঞ্জাম আসে ইউরোপ থেকে। ইউক্রেনে হঠাৎ করে যুদ্ধ বেধে যাওয়ায় সেসব সরঞ্জাম আনায় বিঘ্ন ঘটছে।

চলতি বছরের জুন মাসেই পদ্মা সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া যাবে বলে এতদিন আশা প্রকাশ করে আসছিলেন সরকারের মন্ত্রী ও সচিবরা। তবে গতকাল বুধবার সংসদ অধিবেশনের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২২ সালের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য উš§ুক্ত করে দেয়ার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

পরে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত জানাতে দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে পদ্মা সেতু নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন মন্ত্রিপরিষদ সচিব। পদ্মা সেতু কবে খোলা হবেÑজানতে চাইলে তিনি শুরুতে বলেন, আমরা বলেছি ৩০ জুনের মধ্যে পদ্মা সেতু আমরা ওপেন করে দেব।

এ সময় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে খন্দকার আনোয়ারুল  ইসলাম বলেন, আসলে তো পদ্মা সেতু শেষ হওয়ার নির্ধারিত সময় ২০২২-এর ডিসেম্বর। আমরা চেষ্টা করছি যদি সম্ভব হয়, দেখা যাক, আমি তার (প্রধানমন্ত্রী) সঙ্গেও কথা বলবÑতিনি কী বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পেছনে সম্ভাব্য কারণ ব্যাখ্যা করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী) যে কথাটি বলেছেন, তার একটি লজিক হলো, রিসেন্টলি কিছু মালামাল আসতে সমস্যা হচ্ছে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য। এ মালামালগুলো মার্চ মাসে আসার কথা ছিল, কিন্তু এখন কিছুটা আনসার্টেইনিটি চলে এসেছে।

এজন্য আমার মনে হয়, আমাদের একটি সেফটি মেজার, আমাদের টাইম আছে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে এসব মালামাল আসবে। কিছু কিছু মালামাল আছে, যেগুলো একটা বা দুটো দেশই পৃথিবীতে বানায়। এমনিতেও কভিডের জন্য আসতে দেরি হচ্ছিল, এখন যুদ্ধের কারণে দেরি হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন, নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করবে বাংলাদেশ। এরপর ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর তিনি সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। ঠিক পাঁচ বছরের মাথায় পূর্ণ আকৃতি পায় স্বপ্নের সেতু এবং যুক্ত হয় পদ্মার দুই পাড়। ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সেতু নির্মাণে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে বলে সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।