পেট্রোবাংলার সাত কর্মকর্তাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির কয়লা কেলেঙ্কারির ঘটনায় পেট্রোবাংলার সাত কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল ঢাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের উপ-পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সামছুল আলম ওই সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।
পেট্রোবাংলার উপ-মহাব্যবস্থাপক (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড কন্টাক্ট ম্যানেজমেন্ট) মো. নাজমুল হক, ব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং ম্যানেজমেন্ট) মো. শোয়েবুর রহমান এবং ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) মো. সাইদ মাসুদ গতকাল সকাল পৌনে ১০টায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হন। এরপর বেলা দেড়টায় আসেন উপ-ব্যবস্থাপক (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড অপারেশন) মো. মাহাবুব হোসেন, সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রোডাকশন ম্যানেজমেন্ট) মো. মনিরুজ্জামান এবং সহকারী ব্যবস্থাপক (কোল হ্যান্ডলিং ম্যানেজমেন্ট) মো. মাহাবুব রশিদ। আর ব্যবস্থাপক (স্টোর) মো. দিদারুল কবির বেলা পৌনে ২টায় দুদক কার্যালয়ে এলে তার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৩ আগস্ট এই সাত কর্মকর্তাসহ পেট্রোবাংলার ৩২ জনকে তলব করে চিঠি দেয় দুদক। বাকিদের আগামী ২৮, ২৯ ও ৩০ আগস্ট হাজির হতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ১ আগস্ট বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম নুরুল আওরঙ্গজেব ও মহাব্যবস্থাপক (সারফেস অপারেশন) সাইফুল ইসলাম সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
কয়লা দুর্নীতির ঘটনায় গত ২৪ জুলাই দিনাজপুরের পার্বতীপুর মডেল থানায় বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ১৯ জনকে আসামি করে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা করেন কোম্পানিটির ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান। পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম। মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার, জালিয়াতি, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এক লাখ ৪৪ হাজার ৬৪৪ মেট্রিক টন কয়লা খোলা বাজারে বিক্রি করে ২৩০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০