নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী নির্বাচনে ব্যবহার করার জন্য সরকার পেনশন স্কিমের নামে টাকা চুরির নতুন ফন্দি করেছে বলে দাবি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের। তিনি বলেন, কিছু নেই, দেশটাকে ফোকলা বানিয়েছে সরকার। এখন আবার আরেকটা নতুন কায়দা বের করেছেÑপেনশন স্কিম। টাকা চুরির আরেকটা নতুন ফন্দি। কিন্তু মানুষ এবার তা হতে দেবে না। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর দয়াগঞ্জে সরকার পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গণমিছিল-পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
সরকারকে উদ্দেশ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ভয়ে মুখ শুকিয়ে গেছে। টেলিভিশনে দেখবেন, এখন মুখে হাসি
নেই। চকচকা কাপড় কম পরেন। যারা-যারা বিদেশে বাড়ি-ঘর তৈরি করেছিল, সেটা কীভাবে রক্ষা করবে সেই চিন্তায় আছে। আজকে সারাদেশে এমন একটা অবস্থা তৈরি হয়েছে, দেখে মনে হবে সারাদেশটা একটা কারাগার।
মির্জা ফখরুল বলেন, অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার দাবি করে, সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? এটা বৈধ সংবিধান নয়। বৈধ সংবিধান তো অনেক আগে আওয়ামী লীগ নিজেরাই কেটে-ছিঁড়ে শেষ করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে নতুন ভিসানীতি করেছে। তারা বলেছে, যারা যারা অবৈধভাবে সম্পদ গড়েছে, যারা নির্বাচনে ভোট দিতে বাধা দেবে, তাদের ভিসা দেয়া হবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের পুলিশ ভাইয়েরা, কথায় কথায় রাতের অন্ধকারে বিনা কারণে ছেলেদের গ্রেপ্তার করেন। আপনাদের ৯ জন বড় অফিসার এখন আমেরিকা যেতে পারেন না। সেখানে যে সম্পদ তৈরি করেছিল, সেগুলোর কী হবে সেই চিন্তায় ঘুম হয় না। আমরা পরিষ্কার করে বলি, পুলিশের সাধারণ কর্মকর্তারা কখনও চুরির সঙ্গে জড়িত নন, চুরি করেন বড়রা।
সরকারের অবস্থা এখন আরও খারাপ বলে মন্তব্য করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমেরিকার মানবাধিকার সংস্থাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের সরকারকে বলতে শুরু করেছেÑবাংলাদেশের ওপর একটা শুনানি হোক। তারা বলছে, বাংলাদেশে বিরোধী দলগুলোর ওপর অত্যাচার-নির্যাতন হচ্ছে, নেতাকর্মীদের হত্যা করা হচ্ছে। নির্বাচনে বিরোধী দলগুলোকে বাধা দেয়া হচ্ছে। তাই সরকারের ওপর আবার নিষেধাজ্ঞা দেয়া হোক।
সরকার পালানোর পথ খুঁজে পাবে না বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, কোনো দিকে পথ নেই। উত্তরে পর্বতমালা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর। কোন দিকে যাবে, পালানোর কোনো পথ নেই। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে আবারও দাবি জানান মির্জা ফখরুল।