নিজস্ব প্রতিবেদক : তালিকাভুক্ত দি পেনিনসুলা চিটাগং লিমিটেড ও ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেড পরিচালনা পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পেনিনসুলা চিটাগং: আগামী ৬ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টায় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে লভ্যাংশ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
গতকাল কোম্পানিটির চার কোটি ১৯ লাখ ৫২ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। দিনজুড়ে ১৪ লাখ ১৩ হাজার ৫৬৪টি শেয়ার মোট এক হাজার ৩৬৯ বার হাতবদল হয়। শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের চেয়ে ছয় দশমিক ১৭ শতাংশ বা এক টাকা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৮ টাকা ৯০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৯ টাকা ১০ পয়সা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ২৮ টাকা ৯০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩১ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১৯ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ৩৮ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৭ সালের সমাপ্ত হিসাবছরে কোম্পানিটি পাঁচ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে অর্ধেক। ওই সময় শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৩ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ৩০ টাকা ৬৮ পয়সা। এটি আগের বছরে একই সময় ছিল যথাক্রমে ৮৪ পয়সা ও ৩১ টাকা ১৬ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ছয় কোটি ২৩ টাকা ৩০ পয়সা, আগের বছর ছিল ৯ কোটি ৯৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
কোম্পানিটি ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইপিএস হয়েছে ১৬ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল ৫০ পয়সা। সে হিসেবে ইপিএস কমেছে ৩৪ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত এনএভি হয়েছে ৩০ টাকা ৮৪ পয়সা, যা একই বছরের ৩০ জুন সময় ছিল ৩০ টাকা ৬৮ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে এক কোটি ৮৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১৭ পয়সা এবং কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে এক কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা, যেক্ষেত্রে তৃতীয় প্রান্তিকে ইপিএস ছিল ১৫ পয়সা এবং মুনাফা হয়েছে এক কোটি ৭৫ হাজার ৬০ হাজার টাকা।
৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৮ কোটি ৬৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ১৪০ কোটি ৩৩ লাখ। কোম্পানির ১১ কোটি ৮৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮০০টি শেয়ার রয়েছে।
ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩৯ দশমিক শূন্য চার শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪১ দশমিক ৪৬ শতাংশ শেয়ার।
ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড: আগামী ১০ সেপ্টেম্বর বেলা ৩টায় পরিচালনা পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে লভ্যাংশ দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
শেয়ারদর গতকাল দশমিক ৭৪ শতাংশ বা ২০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৭ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৭ টাকা ৩০ পয়সা। দিনজুড়ে ৯ লাখ ১৪ হাজার ২৭৭টি শেয়ার মোট ৫৩০ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর দুই কোটি ৫০ লাখ ২৭ হাজার টাকা। এক বছরে শেয়ারদর ২২ টাকা থেকে ৫০ টাকায় মধ্যে ওঠানামা করে।
২০১৭ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটি তিন শতাংশ নগদ ও ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ১৪ পয়সা এবং এনএভি ৩৪ টাকা ২৪ পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ৩১ কোটি ৭৬ লাখ ৮০ হাজারট টাকা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ২৯ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
২০১৬ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিট ১২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে দুই শতাংশ বেশি। ওই সময় ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৪৮ পয়সা এবং এনএভি হয়েছে ৩৯ টাকা ৫৫ পয়সা। এটি আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে এক টাকা ৬৫ পয়সা ও ৩৭ টাকা সাত পয়সা। ওই সময় কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ২৯ কোটি ৮৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা, যা আগের বছর ছিল ১৭ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।
৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৬৬ কোটি ২৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২০৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
কোম্পানিটির ১৬ কোটি ৬২ লাখ ৮০ হাজার ৫০৩টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৩১ দশমিক ৬৫ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ ও ৪৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে।
