পেরুতে রাজনৈতিক আশ্রয় চায় ভেনিজুয়েলার অভিবাসীরা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: পেরুতে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করছে হাজার হাজার ভেনিজুয়েলাবাসী। অভিবাসী ঠেকাতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এসব আবেদন জমা পড়ছে বলে জানিয়েছেন পেরুর এক সরকারি কর্মকর্তা। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এখন পেরুতে প্রবেশ করতে ভেনিজুয়েলাবাসীর কাছে পাসপোর্ট থাকতে হবে। আগে শুধু একটি পরিচয়পত্র থাকলেই হতো। গত সপ্তাহে একই নিয়ম চালু করে ইকুয়েডর। খবর বিবিসি।
নতুন পাসপোর্ট আইনের জন্য গত শুক্রবার সময়সীমা বেঁধে দেয় পেরুর কর্তৃপক্ষ। বেঁধে দেওয়া সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার পর নতুন নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে। অনেক ভেনিজুয়েলাবাসী ইকুয়েডর ও কলম্বিয়া পাড়ি দিয়ে পেরুতে নতুন জীবন শুরু করতে চাইছেন। দক্ষিণ আমেরিকার অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতি পেরুতে স্থায়ী হতে চান অনেকে।
গত শুক্রবার পেরুর সীমান্তে দ্রুত পৌঁছাতে ভেনিজুয়েলার নাগরিকদের বাস সরবরাহ করে ইকুয়েডর। এটাকে মানবিক করিডোর আখ্যা দেয় ইকুয়েডর। পেরুর প্রধানমন্ত্রী সিজার ভিলানুয়েভা বলেছেন, ভেনিজুয়েলাবাসীকে সীমান্তে পাসপোর্ট দেখাতে বলা হয়েছে। এর মানে এই নয় যে, তাদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, পরিচয়পত্রে খুব বেশি তথ্য থাকে না, আর সহজেই তা নকল করা যায়।
ভিসা ও পাসপোর্ট ছাড়া প্রায়ই দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো সফর করতে পারে এর নাগরিকেরা। ইকুয়েডর ও পেরুসহ দ্য আন্দিয়ান কমিউনিটি ট্রেডিং ব্লকভুক্ত দেশগুলো পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই এর নাগরিকদের পরস্পরের দেশে ভ্রমণ করার সুযোগ দেয়। তবে ভেনিজুয়েলা ২০০৬ সাল থেকে এই গ্রুপ থেকে বের হয়ে যায়।
পেরুতে এখনই প্রায় ৪০ হাজার ভেনিজুয়েলার অভিবাসী রয়েছে। তাদের বেশিরভাগই বিগত বছরগুলোতে এসেছে।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০