শিক্ষকতা মহৎ পেশা। শিক্ষকতাকে অন্যসব পেশার জননী বলা হয়। সেটি শিক্ষার যে কোনো স্তরেই হোক না কেন। হতে পারে তা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা থেকে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে।
শিক্ষক সমাজের সবার কাছে সম্মানীয় ব্যক্তি। তারা মানুষ গড়ার কারিগর। তাদেরর ব্যক্তিত্ব, আদর্শ এবং মানবিক মূল্যবোধ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শিক্ষার্থীর ওপর প্রভাব বিস্তার করে। তিনিই পারেন শিক্ষার্থীর সুপ্ত প্রতিভা জাগ্রত করে জাতির উন্নয়নে তাকে নিযুক্ত করতে।
জ্ঞান বিতরণের চেয়ে উৎকৃষ্ট কাজ আর কিছুই হতে পারে না। এটাই যদি হয় জীবনের ক্যারিয়ার, নিশ্চয়ই তা পরম পাওয়া। এ পেশায় রয়েছে সম্মান, মর্যাদা ও সুন্দর জীবনের হাতছানি।
প্রতিষ্ঠানভেদে যোগ্যতা
ক্যারিয়ার হিসেবে শিক্ষকতার ক্ষেত্র দিন দিন প্রসারিত হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায় থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।
প্রাথমিক স্তরে শিক্ষকতা
শিক্ষাস্তরের প্রথম ধাপ প্রাথমিক শিক্ষা। প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় প্রতিবছরই শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হতে চাইলে ন্যূনতম ডিগ্রি পাস হতে হবে। প্রধান শিক্ষক হতে চাইলে স্নাতক, স্নাতকোত্তরের পাশাপাশি বিএড ডিগ্রিটা সম্পন্ন করে নিন। এছাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন ও ব্যক্তিমালিকানাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন।
মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষকতা
দেশে সরকারি ও বেসরকারি অনেক মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বাড়ছে। নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। আপনার শিক্ষাজীবনের সবক্ষেত্রে ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ থাকলে ও স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হলে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা সরকারি নিয়োগ পেয়ে থাকেন। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার জন্য নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। নিবন্ধন পরীক্ষার সার্টিফিকেট দিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ পেতে পারেন।
উচ্চমাধ্যমিক স্তরে শিক্ষকতা
উচ্চমাধ্যমিক স্তরে নিয়োগের নিয়ম-কানুন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানভেদে ভিন্ন। সরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করতে চাইলে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতার জন্য নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। সেখানে আপনার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে চার বছরের স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা
শিক্ষকতার সর্বোচ্চ পর্যায় হলো বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে শিক্ষকতার জন্য শিক্ষাজীবনের সব পর্যায়ে ভালো ফল করতে হবে। এছাড়া এমফিল ও পিএইচডিধারীদের জন্যও অনেক সুযোগ রয়েছে।
শিপন আহমেদ